ফিদেল কাস্ত্রোর মৃত্যুতে ঢাবি উপাচার্যের শোক
কিউবার মহান বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
এক বাণীতে উপাচার্য এই শোক প্রকাশ করেন।
আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষের মুক্তি সংগ্রামে অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়ে ফিদেল কাস্ত্রো আমাদের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একান্ত অনুরাগী ছিলেন কাস্ত্রো। তিনি পৃথিবীর ভাগ্যাহত মানুষের উন্নত জীবনের জন্য স্বপ্ন দেখিয়েছেন। লড়াই করেছেন ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য। পৃথিবীর বৃহৎ শক্তির চোখ রাঙানিতে তিনি নত হননি। প্রতিষ্ঠা করেছেন তাঁর স্বপ্নের রাষ্ট্র কিউবাকে।’
‘আমরা তাঁর মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত। বাংলাদেশের পতাকাকে সমুন্নত করতে তিনি আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের সমর্থন করেছেন, সহযোগিতা করেছেন। বাঙালি জাতি তা চিরদিন স্মরণ রাখবে।’
স্থানীয় সময় শুক্রবার দিবাগত রাতে ৯০ বছর বয়সে ফিদেল কাস্ত্রোর জীবনাবসান হয়েছে।
১৯২৬ সালে কিউবার বিরানে স্প্যানিশ বংশোদ্ভূত এক সচ্ছল পরিবারে ফিদেল কাস্ত্রো জন্মগ্রহণ করেন। কাস্ত্রো দীর্ঘদিন সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৫৯ সালে কিউবাকে মুক্ত করে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিবর্তনের সূচনা করেন। ১৯৫৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করে অর্ধশতককাল নিজের আদর্শের বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে ২০০৮ সালে ছোট ভাই রাহুল কাস্ত্রোর হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে অবসর গ্রহণ করেন তিনি।
কিউবার মানুষের কাছে কাস্ত্রো স্বপ্নের নায়ক হিসেবে পরিচিত। ৩ বছর আগে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার তাঁকে ‘মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা’য় ভূষিত করে।