বাংলাবান্দায় শুল্ক ফাঁকি : চার কর্মকর্তা বদলি, মামলা
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে পণ্য আমদানির ঘটনায় ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ ছাড়া চার শুল্ক কর্মকর্তাকে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনা তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কাস্টমসের রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মো. মুজিবুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেন,
আজ বৃহস্পতিবার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ জাকারিয়া, রাজস্ব কর্মকর্তা সরদার মু. জাকির হোসেন, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুস সামাদ আজাদ ও মো. নুরুজ্জামানকে তাৎক্ষণিক বদলি করা হয়েছে।
এ ছাড়া কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার নুরুল হুদা আজাদকে তদন্ত করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান রংপুর বিভাগীয় কমিশনার।
গত ১৯ মে (মঙ্গলবার) ৪৮০টি ভারতীয় বাইসাইকেলের শুল্ক দিয়ে পাঁচটি ট্রাকে দুই হাজার ৪০০টি বাইসাইকেল আমদানি করা হয়। খবর পেয়ে জেলা টাস্কফোর্স পঞ্চগড় ১৮ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি ব্যাটালিয়নের সামনে ট্রাকগুলো আটক করে। এ সময় চালক ও তাঁদের সহকারীসহ মোট আটজনকে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় পরের দিন বুধবার বিজিবির পক্ষ থেকে সুবেদার মো. আবুল কালাম বাদী হয়ে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে ১৪ জনের বিরুদ্ধে পঞ্চগড় থানায় একটি মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন ট্রাকচালক ও তাঁদের সহকারী আটজন, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ব্যবস্থাপক কাজী আল তারিক, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এ বি ব্রাদার্সের স্বত্বাধিকারী বিনয় কুমার মুজুমদার, আমদানিকারক রাজু সাইকেল স্টোরের স্বত্বাধিকারী (অজ্ঞাতনামা), বন্দরের ট্রাফিক কর্মকর্তা (অজ্ঞাতনামা), কাস্টমস কর্মকর্তা (অজ্ঞাতনামা)।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম মমিন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, আটক ট্রাকচালক ও তাঁদের সহকারী আটজনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ব্যবস্থাপক কাজী আল তারিক, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট বিনয় কুমার মজুমদারসহ অন্য আসামিরা পলাতক আছেন। তাঁদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি।