তারেক রহমানকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
চাঁদাবাজি ও আয়কর ফাঁকির অভিযোগে দায়ের করা তিনটি মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে তাঁকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি মামলার বিচার কার্যক্রমের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এতে করে এসব মামলার বিচারকাজ চলতে আর আইনগত কোনো বাধা থাকল না।
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তারেক রহমানের মামলা স্থগিতের বিষয়ে রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে এ রায় দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। অন্যদিকে তারেক রহমানের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন এ জে মোহাম্মদ আলী।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস জানান, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা তিনটি মামলায় তাঁকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে মোট পাঁচটি মামলার স্থগিতাদেশ তুলে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে এসব মামলার বিচারকাজ চলতে আর আইনগত কোনো বাধা থাকল না বলেও জানান তিনি।
তারেক রহমানের পাঁচ মামলা
মামলা ১ : ২০০৭ সালের ৯ এপ্রিল শাহবাগ থানায় আবদুল মোনেম লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক খায়রুল বাসার ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে ১০ কোটি ৩০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির মামলা করেন। মামুনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তারেক রহমানকে এ মামলায়ও গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে হাইকোর্টে এ মামলার কার্যক্রম স্থগিত ছিল।
মামলা ২ : আয়কর ফাঁকির অভিযোগে ২০০৮ সালের ৪ আগস্ট ঢাকার বিশেষ আদালতে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে এনবিআর। এটিও স্থগিত ছিল।
মামলা ৩ : ২০০৭ সালে ২৪ লাখ ৩৯ হাজার ২২৬ টাকার কর ফাঁকির অভিযোগে মামলা করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ মামলাও দীর্ঘদিন ধরে হাইকার্টের আদেশে স্থগিত ছিল।
মামলা ৪ : গুলশানের উদয় টাওয়ারের মালিক ও ঠিকাদার আমীন আহমেদ ভুঁইয়া এক কোটি টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ ২০০৭ সালের ৮ মার্চ তারেক রহমান ও তাঁর একান্ত সহকারী মিয়া নূরউদ্দিন অপুকে আসামি করে মামলা করেন। মামলাটি হাইকোর্টের আদেশে ওই বছরই স্থগিত হয়ে যায়। আপিল বিভাগও স্থগিতাদেশ বহাল রাখেন।
মামলা ৫ : ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আল আমিন কনস্ট্রাকশনের কর্মকর্তা সৈয়দ আবু শাহেদ সোহেল ২০০৭ সালের ৪ মে গুলশান থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় মামুন ও তাঁর সহযোগীরা চার লাখ ৮৯ হাজার টাকা চাঁদা নিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়। এ মামলায়ও মামুন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তারেক রহমানের নাম বলেন।