গারো নারীকে গণধর্ষণের আলামত মিলেছে
রাজধানীতে মাইক্রোবাসে গণধর্ষণের শিকার আদিবাসী নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর ধর্ষণের প্রাথমিক আলামত পাওয়া গেছে। আজ শনিবার একথা জানান ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মোহাম্মদ হাবিবুজ্জামান চৌধুরী। এক সপ্তাহের মধ্যে এর চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আজ বেলা ১১টার দিকে ওই গারো নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। অধ্যাপক মোহাম্মদ হাবিবুজ্জামান চৌধুরী বলেন, স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। তিনি (নারী) খুবই দুর্বল। তাঁর বয়স নির্ধারণের জন্য এক্স-রে করানো হবে।
গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর কুড়িল-উত্তরা রোড থেকে এক আদিবাসী নারীকে জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া যায়। ২১ বছর বয়সী ওই নারী কাজ শেষে উত্তরার বাসায় যাওয়ার জন্য কুড়িল বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় দুর্বৃত্তরা তাঁকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়।
ওই ঘটনার পর নির্যাতিত নারী গতকাল শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ভাটারা থানায় অজ্ঞাতপরিচয় পাঁচজনকে আসমি করে মামলা করেন।
ভাটারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খোরশেদ আলম ঘটনাটির ব্যাপারে এনটিভি অনলাইনকে বলেছিলেন, ওই আদিবাসী নারী যমুনা ফিউচার পার্কে কাজ শেষে রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুড়িল বাসস্ট্যান্ডে গাড়িতে ওঠার জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় একটি মাইক্রোবাস এসে তাঁকে জোর করে তুলে নেয়।
গাড়ির মধ্যে পাঁচজন ধর্ষণের পর তাঁকে উত্তরার জসীমউদদীন এলাকায় ফেলে রেখে যায় বলে জানান এসআই খোরশেদ। তিনি আরো জানান, এরই মধ্যে নির্যাতিত নারীর জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাজ্জাদ হোসেন এনটিভি অনলাইনকে বলেছিলেন, ‘শুক্রবার হাসপাতাল বন্ধ থাকায় ওই নারীকে শনিবার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। এখনো পর্যন্ত (গতকাল শুক্রবার) কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। তবে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মামলার বাদীর বরাত দিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা আরো জানান, ‘খুব সম্ভবত ২৩-২৮ বছরের পাঁচ যুবক গণধর্ষণের ঘটনাটি ঘটিয়েছে। তারা ছাই রঙের একটি গাড়িতে ওই নারীকে তুলে নিয়ে যায়। পরে ঢাকার মধ্যেই বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরে একের পর এক ধর্ষণ করে মধ্যরাতে নারীকে রাস্তায় ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে।’