গোপালগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, প্রতিবাদে মানববন্ধন

Looks like you've blocked notifications!
মানববন্ধন করে ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। ছবি : এনটিভি

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সাতপাড়ে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বুধবার দিবাগত রাতে ওই শিক্ষার্থীকে হাত-মুখ বেঁধে ঘর থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।

এ ঘটনার প্রতিবাদে ও দোষীদের বিচার দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী বৃহস্পতিবার বিকেলে মানববন্ধন করেছেন। মানববন্ধনে স্থানীয়রা এ ঘটনায় ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সাতপাড় দীননাথ গয়ালী চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী প্রতিদিনের মতো গত বুধবার দিবাগত রাতেও বার্ষিক পরীক্ষার জন্য পড়াশোনা করছিল। ঘরে তখন তার মাও ছিলেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওই এলাকার দুই বখাটে যুবক ঘরে ঢুকে মেয়েকে তুলে নিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী রাত দেড়টার দিকে আহত অবস্থায় ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে।

নির্যাতনের শিকার ছাত্রীর মা জানান, তাঁদের বাড়ি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় হলেও স্বামীর ব্যবসায়িক কারণে চার বছর ধরে তাঁরা সাতপাড় বাজারের পাশে একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন।

বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সাতপাড় ইউনিয়নের প্রণব বিশ্বাস বাপ্পী ও কাজল মোল্লা তাঁকে দরজা খুলতে বলে। দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে ওই দুজন ঘরে ঢুকে তাঁর ও নবম শ্রেণিপড়ুয়া মেয়ের হাত-মুখ কাপড় দিয়ে বেঁধে ফেলে। পরে মেয়েকে টেনেহিঁচড়ে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়।

ওই ছাত্রীর মা আরো জানান, দুই ঘণ্টা পর স্থানীয়দের সহায়তায় মেয়েকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার পাওয়ার পর তাঁর মেয়ে ধর্ষণের কথা বলেছে।

এদিকে ধর্ষণের প্রায় দুই ঘণ্টা পর ঘটনায় অভিযুক্ত কাজল মোল্লা মোটরসাইকেলে করে সাতপাড় বাজার এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী তাঁকে আটকে পুলিশে দেয়। এ ঘটনার অপর অভিযুক্ত প্রণব বিশ্বাস বাপ্পী পলাতক রয়েছে।

এদিকে এ খবর সকালে এলাকায় ও বিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়লে মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও এলাকাবাসী দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেন।

পরে ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে প্রণব বিশ্বাস বাপ্পী ও কাজল মোল্লাকে আসামি করে গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। জনতার হাতে আটক কাজলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুলিশ গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।

এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম এমরান হোসেন বলেন, ‘গত রাতে সাতপাড়ে একটা মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগের কথা আমাদের নলেজে আসছে। তাদের অভিযোগপ্রাপ্তির ভিত্তিতে আমরা তদন্ত করব এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।’