খালেদা জিয়া অকার্যকর রাষ্ট্র চান : আমু
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চান বলে অভিযোগ করেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। কিন্তু জ্বালাও-পোড়াও উপেক্ষা করে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলছে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের এ সদস্য।
আজ শনিবার দুপুরে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষে মার্চেন্টস মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, ‘২০১৪ সালে যখন নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়া হলো নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছিলেন নির্বাচনী প্রক্রিয়া কীভাবে হবে সেটি আলোচনার জন্য। কিন্তু খালেদা জিয়া আসলেন না। তিনি তখন ৭২ ঘণ্টা হরতাল দিলেন। ২০ জন লোককে হত্যা করা হলো। তারপরও শেখ হাসিনা বললেন, আপনি হরতাল বন্ধ করুন। আপনার হরতালের অর্থ হলো মানুষ খুন।
আমার মন্ত্রিসভা নয়, সর্বদলীয় মন্ত্রিসভার মধ্য দিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আপনার দল যে কয়টি পোর্টফোলিও চাইবে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সেগুলো আমরা দেব। কিন্তু খালেদা জিয়া আসলেন না। তিনি আন্দোলনের ঘোষণা দিলেন। আন্দোলনের নামে সেদিনও বাসের মধ্যে মানুষ পুড়িয়ে মারলেন। হাজার হাজার গাছ কেটে পরিবেশ নষ্ট করলেন। রেলের স্লিপার তুলে দিয়ে মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন। তার কারণ কী?’
সেদিন যদি নির্বাচন না হতো তাহলে দেশে সাংবিধানিক শূন্যতার সৃষ্টি হতো জানিয়ে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, ‘বাংলাদেশে সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি হতো। একটি দেশে যখন সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি হয়, তখন সেই দেশে আর কিছু থাকে না। তখন সেই রাষ্ট্র একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হয়। যে খুশি সে থাবা দিয়ে এই রাষ্ট্রের কর্তৃত্ব নিতে পারে। তাই খালেদা জিয়ারা চায়, এই দেশ একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হোক।’
এ সময় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তাঁর স্বীকৃতির কথা তুলে ধরে আগামী ২০১৮ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি দারিদ্র্যমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
এ সময় বিএনপিকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের এ সদস্য বলেন, অযৌক্তিক ও গণবিরোধী আন্দোলন করে গণতান্ত্রিক সরকারকে সরানো যাবে না। হরতাল-ধর্মঘটের নামে নৈরাজ্য, জ্বালাও-পোড়াও, মানুষ হত্যা, অর্থনৈতিক স্থবিরতা এ দেশের মানুষ আর দেখতে চায় না। তাঁরা শান্তি চায়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তছলিম উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা অওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির, নলছিটি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. ইউনুস লস্কর, পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র মো. ফারুক হোসেন প্রমুখ।
সম্মেলনে তছলিম উদ্দিন চৌধুরীকে সভাপতি এবং অ্যাডভোকেট মো. ইউনুস লস্করকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা দেওয়া হয়।