বাংলাদেশেও পরীক্ষা হচ্ছে ম্যাগির

Looks like you've blocked notifications!

নিকটতম প্রতিবেশী দেশ ভারতে ম্যাগি ইন্সট্যান্ট নুডলসে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর পরিমাণে সিসা ও মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট (এমএসজি) পাওয়া গেছে। ঘটনাটি গণমাধ্যমে আসার পর বাংলাদেশেও ম্যাগি নুডলস পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে খাদ্যের মান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্স অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনও (বিএসটিআই)। 

বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক ইকরামুল হক আজ  শনিবার এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘এখন বাজার থেকে ম্যাগি নুডলসের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। সেসব নমুনা বিএসটিআইয়ের নিজস্ব পরীক্ষাগারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর জানা যাবে এতে কোনো ক্ষতিকর উপাদান আছে কি না।’ 

পরীক্ষা করতে কতদিন সময় লাগতে পারে তা জানতে চাইলে ইকরামুল হক বলেন, ‘এটা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। তবে বেশ কয়েকদিন সময় লাগবে।’

বিএসটিআই যেসব পণ্যের লাইসেন্স দেয়, সেসব পণ্যের মান যাচাই করার ক্ষমতা এর নিজস্ব পরীক্ষাগারের রয়েছে বলেও জানান সংস্থাটির মহাপরিচালক। 

পরীক্ষা করে কোনো ক্ষতিকর দ্রব্য পাওয়া গেলে সে ক্ষেত্রে বিএসটিআই কী ধরনের পদক্ষেপ নেবে, সে সম্পর্কে ইকরামুল হক এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘পরীক্ষায় কোনো ক্ষতিকর বস্তু পাওয়া গেলে সে ক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে তাদের লাইসেন্স বাতিল করে দেব। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির বক্তব্য জানতে চাওয়া হবে। এ ছাড়া বাজার থেকে সব পণ্য উঠিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে।’ পরবর্তী সময়ে মান পূরণ করে আবারও পণ্য উৎপাদন না করা পর্যন্ত তাদের ছাড়পত্র দেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে নেসলে বাংলাদেশের কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা বা তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এর আগে ভারতের উত্তর প্রদেশে ম্যাগি ইনস্ট্যান্ট নুডলসে অতিরিক্ত মাত্রার সিসা পাওয়ার পর বেশ কয়েক দফা পরীক্ষার পর গত ২০ মে দেশটির বাজার থেকে ম্যাগি ইনস্ট্যান্ট নুডলস প্রত্যাহার করে নেওয়ার নির্দেশ দেয় সেখানকার সেফটি অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।

এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, তা জানতে চেয়ে বিএসটিআই মহাপরিচালকের সঙ্গে ২১ মে বিকেলে যোগাযোগ করা হলে তিনি তখনই প্রথম এ সম্পর্কে জানতে পারেন। সে সময় তিনি এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছিলেন, ‘ভারতে যদি পাওয়া যায়, তাহলে বাংলাদেশেও তো পাওয়া সম্ভব। এখনই জরুরি ভিত্তিতে বাজার থেকে ম্যাগি ইনস্ট্যান্ট নুডলসের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা করে দেখার ব্যবস্থা হবে। এ রকম কিছু পাওয়া গেলে তা বাজার থেকে সরিয়ে ফেলাসহ অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।’