মুজাহিদের সঙ্গে আইনজীবীদের সাক্ষাৎ

Looks like you've blocked notifications!
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের সঙ্গে দেখা করেছেন তাঁর তিন আইনজীবী। আজ শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ কারাগারে দেখা করে ফেরার পর আইনজীবীরা। ছবি : এনটিভি
 

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের সঙ্গে দেখা করেছেন তাঁর তিন আইনজীবী। আজ শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ কারাগারে আইনজীবীদের সঙ্গে তাঁর ছোট ছেলে আলী আহাম্মদ মাবরুরও কথা বলেন।

আগামীকাল রোববার মুজাহিদের আপিল মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য রয়েছে। এ বিষয়ে পরামর্শ এবং নির্দেশনা নিতে তাঁর আইনজীবী ব্যারিস্টার নাদিম মোমেন, ব্যারিস্টার এহসান সিদ্দিক ও অ্যাডভোকেট শিশির মোহাম্মদ মনির কারাগারে দেখা করেন।

urgentPhoto

এ বিষয়ে শিশির মনির বলেন, ‘আপনারা সবাই জানেন যে আগামীকাল বেলা সাড়ে ১১টার সময় মহামান্য আপিল বিভাগে মুজাহিদ সাহেবের আপিল মামলাটির যুক্তিতর্ক শুরু হওয়ার নির্ধারিত সময় রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা মুজাহিদ সাহেবের সাথে বিস্তারিত কথা বলেছি। আইনি অনেক পরামর্শ করেছি। উনি ওনার পর্যবেক্ষণগুলো আমাদের জানিয়েছেন। দেশে-বিদেশে যেসব নজির আছে এগুলো আমরা তাঁর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমাদের তাঁর যুক্তিতর্কগুলো বলেছেন। তাঁর পক্ষে যে সমস্ত যুক্তিতর্ক আছে, সেগুলো যেন আমরা আপিল বিভাগের সামনে অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে উপস্থাপন করি। আমরা ওনার এ নির্দেশনাটি নিয়েছি এবং শুনেছি।’ 

অ্যাডভোকেট শিশির বলেন, ‘তিনি (মুজাহিদ) দেশবাসীকে সালাম দিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ আছেন বলেও জানিয়েছেন।’ 

‘আমরা আশা করি উনি আমাদের যে নির্দেশনাগুলো দিয়েছেন আগামীকাল থেকে শুরু করে মহামান্য আপিল বিভাগের সামনে আমরা এই যুক্তিগুলো উপস্থাপন করতে পারব বলে দৃঢ় প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।’ সেই সঙ্গে আপিলের বিষয় ছাড়া অন্য কোনো বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কথা হয়নি বলে সাংবাদিকদের জানান শিশির। 

শিশির মনির আরো জানান, আদালতে তাঁদের একটি লিখিত যুক্তিতর্ক জমা দেওয়া হবে। 

মুক্তিযুদ্ধের সময় সাংবাদিক, শিক্ষকসহ বুদ্ধিজীবী হত্যা এবং সাম্প্রদায়িক হত্যা-নির্যাতনের দায়ে ২০১৩ সালের ১৭ জুলাই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। সেই রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরের ১১ আগস্ট আপিল করেন মুজাহিদ।