ঝড়ে বিদ্যুৎহীন নীলফামারী
নীলফামারীর বিভিন্ন উপজেলার ওপর দিয়ে শনিবার রাতে মাঝারি ধরনের কালবৈশাখী ঝড় বয়ে গেছে। এতে পুরো জেলায় বিদ্যুৎ ও টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বিভিন্ন উপজেলা থেকে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে কিশোরগঞ্জ উপজেলা।
রাত ৮টার পর পরই এ ঝড় বয়ে যায়। ঝড় থামার পরই শুরু হয় শিলা বৃষ্টি। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেড়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন ও সাধারণ মানুষ।
ঝড়ের পর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে গেছেন কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিদ্দিকুর রহমান। তিনি ঘটনাস্থল থেকে এনটিভি অনলাইনকে জানান, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উপজেলার মাগুড়া গ্রাম। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ব্যাপক। রাতে তা নিরুপণ করা সম্ভব নয়। দিনের বেলা তা সঠিকভাবে নিরুপণ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এলাকার লোকজন জানায়, মাগুড়া গ্রামের শত শত ঘড়বাড়ি ধসে পড়েছে। গাছপালা পড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের অনেকেই আশ্রয়ের সন্ধান করছে।
এদিকে পুরো জেলায় ঝড়ের পর পরই বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। তবে জেলা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপসহকারী প্রকৌশলী মির্জা রফিকুন নবী এনটিভি অনলাইনকে রাত সাড়ে ১০টায় বলেন, ‘সৈয়দপুর পাওয়ার হাউজ থেকে অজ্ঞাত কারণে বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে গেছে।’
পাউবো জানায়, ঝড়ে যেসব জায়গায় বিদ্যুৎ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা সারিয়ে পুনরায় সংযোগ দিতে সময় লাগবে। আজ রাতের মধ্যে শহর এলাকার বিদ্যুৎ হয়তো চালু করা যাবে। তবে উপজেলায় আগামীকাল বিদ্যুৎ চালু হতে পারে।
স্থানীয়রা জানায়, শিলাবৃষ্টিতে পাট, বোরো ধান, মরিচ, ভুট্টা, আম, কাঁঠাল, লিচুসহ বিভিন্ন ফল ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।