জামায়াত আমিরের ছেলে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি

Looks like you've blocked notifications!
নাটোরের সিংড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন খালিদ হাসান (বাঁয়ে) এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন নাজমুল হক (ডানে)। ছবি : এনটিভি

নাটোরের সিংড়া পৌর জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমিরের ছেলে সরকারসমর্থক ছাত্রলীগের উপজেলা কমিটির সভাপতি হয়েছেন। 

গতকাল শনিবার দিনভর উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন ও কাউন্সিল শেষে রাতে জামায়াত নেতা রওশন আলীর ছেলে খালিদ হাসানকে উপজেলা সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এ কমিটির সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন নাজমুল হক। নতুন সভাপতি খালিদ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের ভাগ্নে। 

জামায়াতে ইসলামীর নেতার ছেলে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হওয়ায় স্থানীয়ভাবে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। 

তবে নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমিরের ছেলে হলেও খালিদ হাসান ছাত্রলীগ করতে পারবে না এমন তো কিছু নয়। তিনি তাঁর যোগ্যতা অনুয়ায়ী পদ পেয়েছেন। এতে প্রশ্ন তোলার কোনো সুযোগ নেই।’ 

নাজমুল হক আরো বলেন, ‘খালিদ ঢাকার আহসান উল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। এর আগে তিনি পৌর ছাত্রলীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি ব্যক্তিগত যোগ্যতায় নেতা নির্বাচিত হয়েছেন।’

সূত্র জানায়, গতকাল শনিবার নাটোরের সিংড়ায় আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সিংড়া উপজেলা, পৌর ও গোল ই আফরোজ সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে স্থানীয় সংসদ সদস্য, তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

দিনভর সম্মেলন শেষে রাতে পৌর কমিউনিটি সেন্টারে ছাত্রলীগের উপজেলা কমিটি নির্বাচনের জন্য ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। দলের কর্মীদের প্রত্যক্ষ ভোটে খালিদ হাসান সভাপতি এবং নাজমুল হক সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। 

রাজনীতিতে খালিদ হাসান খুব একটা সক্রিয় ছিলেন না। বেশ কিছুদিন তিনি আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন বলে জানান স্থানীয় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী।

তবে ছাত্রলীগের ওই নেতাকর্মীরা নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি। তাঁরা মনে করেন, জামায়াতের বড় একজন নেতার ছেলেকে উপজেলা ছাত্রলীগের সর্বোচ্চ পদে বসানো ঠিক হয়নি। আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী নেতার ভাগ্নে হওয়াটাই তাঁর বড় যোগ্যতা হিসেবে দেখা হয়েছে। এটা নিয়ে প্রকাশ্যে সমালোচনা করার সাহস কারো নেই। সবাই মুখ বুজে আছে।