বন্দর কর্তৃপক্ষের নৌযানে ডাকাতি, শ্রমিক-কর্মচারীদের ক্ষোভ

Looks like you've blocked notifications!
ফাইল ছবি

সুন্দরবনের হাড়বাড়িয়া এলাকায় বন্দর কর্তৃপক্ষের পানি বহনকারী একটি জাহাজে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গত শনিবার দিবাগত রাত ২টায় মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সুপেয় পানি বহনকারী নৌযান ‘তৃষ্ণা’য় এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।   

এ ঘটনায় মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের নৌযান কর্মচারী ও শ্রমিকদের মাঝে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। কর্মচারী ও শ্রমিকরা পশুর চ্যানেলে চলাচলকারী বন্দরের বিভিন্ন নৌযানের নিরাপত্তা জোরদার করার দাবি জানিয়েছেন। দাবি পূরণ না করলে ধর্মঘটসহ বৃহত্তর কর্মসূচি শুরু করার হুমকি দিয়েছেন তাঁরা।

বন্দর সূত্র জানায়,মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সুপেয় পানি বহনকারী নৌযান ‘তৃষ্ণা’ গত শনিবার দিনে সুন্দরবনের অভ্যন্তরের পশুর চ্যানেলের হাড়বাড়িয়া এলাকায় একটি বিদেশি জাহাজে পানি সরবরাহ করতে যায়। ওই জাহাজে পানি সরবরাহ শেষে অপর একটি জাহাজে পানি সরবরাহ করতে নৌযানটি হাড়বাড়িয়া এলাকায় নোঙর করে থাকে। রাত ২টার দিকে জেলে বেশে নয়-দশজন সশস্ত্র ডাকাত একটি ট্রলারে এসে ওই নৌযানে উঠে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে নৌযানের ১২ জন কর্মীকে জিম্মি করে মারধর করতে থাকে। একপর্যায়ে ডাকাতরা ওই নৌযানের কর্মীদের কাছ থেকে টাকা, মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন মালামাল লুটে নেয়। ডাকাতদের হামলায় ওই নৌযানের সব কর্মী কমবেশি আহত হন।

আজ রোববার এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে বন্দর কর্তৃপক্ষের নৌযান কর্মচারী ও শ্রমিকদের মাঝে ক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বন্দরের নৌযান কর্মীরা পশুর চ্যানেলে ডাকাতি রোধে নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে দাবি জানান। অন্যথায় ধর্মঘটসহ বৃহত্তর কর্মসূচি শুরু করার হুমকি দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট  কমান্ডার হাবিবের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ডাকাতির ঘটনায় ব্যবস্থা নিতে বন্দরের পক্ষ থেকে মংলা থানায় অভিযোগ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

অপরদিকে মংলা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মঞ্জুর এলাহী বলেন,‘এ ধরনের ঘটনা আমাদের জানা নেই। তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সুন্দরবনের পশুর নদীর হাড়বাড়িয়াসহ আশপাশ এলাকায় দস্যুদের উৎপাত লেগেই রয়েছে।  দস্যুরা এসব এলাকায় প্রায়ই মাছ ধরার জেলেদের অস্ত্র দেখিয়ে জিম্মি করে মোটা অঙ্কের চাঁদা ও মুক্তিপণ আদায় করে। বেসরকারি মালিকানাধীন নৌযানও এ থেকে রেহাই পাচ্ছে না। তবে খোদ বন্দর কর্তৃপক্ষের নৌযানে দস্যুদের এ ধরনের হামলা ও লুটপাটের ঘটনা এটাই প্রথম বলে বন্দরের নৌযান কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।