সিআইডির তদন্ত দলের ভাষ্য

বাংলাদেশ ব্যাংকের ভেতরের চক্রও রিজার্ভ চুরিতে

Looks like you've blocked notifications!

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির সঙ্গে ভেতরকার একটি চক্র জড়িত বলে মনে করছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) তদন্তদলের প্রধান শাহ আলম। তাঁর মতে, এই চক্রটি রিজার্ভের নিরাপত্তাব্যবস্থাকে ধীরে ধীরে দুর্বল করেছে। এর ফলে চুরি করা সহজ হয়েছে হ্যাকারদের।

নিরাপত্তাব্যবস্থা দুর্বল করে ভেতরকার ও বাইরের চক্র বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরিতে সহায়তা করেছে বলে জানিয়েছেন

প্রাথমিক তদন্তের পর আজ শুক্রবার সকালে টেলিফোনে এনটিভিকে এমন তথ্য জানান সিআইডির এই কর্মকর্তা।

শাহ আলম টেলিফোনে বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে তদন্তে আমরা যেটা দেখেছি, কিছু ব্যক্তি, দেশি-বিদেশি ব্যক্তির, সুনির্দিষ্ট কিছু পদক্ষেপের ফলে সুরক্ষিত সিস্টেমটা (ব্যবস্থা) স্টেপ বাই স্টেপ (ধাপে ধাপে) অরক্ষিত হয়েছে এবং অরক্ষিত করার ফলশ্রুতিতেই, মূল হোতা যারা হ্যাকিংটা করেছিলেন, (তাদের) হ্যাকিং করাটা সহজ হয়েছে। সুযোগ তৈরি হয়েছে।’

‘আমাদের তদন্তে আমরা যেটা বুঝেছি, আমরা যেটা পেয়েছি যে, মূল হোতারা কিছু টেকনিক্যাল হ্যাকারকে দিয়ে হ্যাক করানোর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের সুরক্ষিত সিস্টেমটাকে অরক্ষিত করতে হয়েছে তাদের। বাংলাদেশ ব্যাংকের ভেতরের এবং বাইরের দুই রকমের লোকই আছেন।’ 

এদিকে রিজার্ভ চুরির ঘটনায় তদন্ত কমিটি বাংলাদেশ ব্যাংকের পাঁচ কর্মকর্তার দায়িত্ব অবহেলার প্রমাণ পেয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রয়টার্সের অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, গত ফেব্রুয়ারিতে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে ফেডারেল রিজার্ভে গচ্ছিত বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮১ মিলিয়ন ডলার চুরির ঘটনা তদন্তে বাংলাদেশ সরকার গঠিত তদন্ত কমিটি ব্যাংকের পাঁচ কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে।

তদন্ত কমিটির প্রধান বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের বরাত দিয়ে রয়টার্সের খবরে বলা হয়, ওই পাঁচ কর্মকর্তার অবহেলা ও দায়িত্বজ্ঞানহীনতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে ওই পাঁচজন এই অর্থ চুরির সঙ্গে সরাসরি জড়িত নয় বলেও জানিয়েছেন তিনি।