ইউএনওর ফোন নম্বর ক্লোন করে চাঁদা দাবি!

Looks like you've blocked notifications!

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার নতুন নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ জেড এম শরীফ হোসেনের ব্যক্তিগত মুঠোফোন নম্বর ক্লোন করা হয়েছে। এখন ওই নম্বর থেকে তাঁর নাম ভাঙিয়ে উপজেলার বিভিন্ন জনপ্রতিনিধির কাছে ফোন করে টাকা চাওয়া হচ্ছে।

এই অভিযোগ করে গতকাল বুধবার ঝিনাইগাতী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ইউএনও।

জিডিতে বলা হয়েছে, একটি প্রতারক চক্র ইউএনওর ব্যবহৃত গ্রামীণফোনের নম্বরটি ক্লোন বা কোনোভাবে মাস্কিং করে সেই নম্বর দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন জনপ্রতিনিধির কাছে প্রকল্প বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলে টাকা চেয়েছে। আর সেজন্যই জনগণকে সচেতন করতে এবং বিষয়টি অধিকতর যাচাই ও তদন্ত করার জন্য ইউএনও জিডিটি করেন।

এদিকে স্বয়ং ইউএনওর মুঠোফোন নম্বর দিয়ে জনপ্রতিনিধিদের কাছে টাকা চাওয়ার ব্যাপারটি ঝিনাইগাতী উপজেলা থেকে জেলা সদর পর্যন্ত প্রধান আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয়েছে। ফোনের সিম নম্বর ক্লোন বা মাস্কিং করা কীভাবে সম্ভব? আর সম্ভব হলে এমন প্রতারণা ঠেকাতে কী ব্যবস্থা রয়েছে এমন প্রশ্নই এখন মানুষের।

ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে, ইউএনও এ জেড এম শরীফ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘কয়েকজন জনপ্রতিনিধি আমাকে জানান আমার নম্বর থেকে ফোন করে প্রজেক্ট পাইয়ে দেওয়ার জন্য তাদের কাছে টাকা চেয়েছে প্রতারক চক্রটি।’

তাঁর সিমের নম্বরটি ক্লোন করে বা কোনো সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে কোনোভাবে মাস্কিং করে হয়তো প্রতারক চক্র এসব করছে বলে ধারণা করছেন ইউএনও। সেজন্যই জনগণকে সচেতন করতে এবং পুলিশের সহযোগিতার জন্য এই জিডি করেছেন বলে জানান তিনি।

সিম ক্লোনের বিষয়টি গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ইউএনও বলেন, বিষয়টি গ্রামীণফোনের গ্রাহকসেবা কেন্দ্রে জানিয়েছিলাম। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। 

একটি সিম যেটি আপনি ব্যবহার করছেন সেই সিম যদি অন্য কেউ ব্যবহার করে কিংবা যদি দেখেন এক নম্বর এক সঙ্গে দুজন ব্যবহার করছে কিংবা হঠাৎ করে যদি দেখেন কোনো কারণ ছাড়াই আপনার মুঠোফোন নম্বর থেকে ব্যালান্স কমে যাচ্ছে তবে বুঝবেন আপনি সিম ক্লোনের শিকার।