ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত পলাতক রাজাকার কমান্ডারের মৃত্যু
মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত পলাতক আসামি কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার রাজাকার কমান্ডার গাজী আবদুল মান্নান (৮৯) মারা গেছেন।
আজ সোমবার ভোরে নারায়ণগঞ্জ জেলার কাঁচপুর এলাকায় মান্নানের মৃত্যু হয় বলে করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির রাব্বানী জানিয়েছেন।
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, মান্নানের লাশ আজ দুপুরে উপজেলার চরপাড়া গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। বাড়ির আঙিনাতেই জানাজা শেষে তাঁকে দাফন করা হয়।
গত বছরের ৩ মে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার চার রাজাকারের ফাঁসি ও একজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত চার রাজাকার হলেন—উপজেলার চরপাড়া গ্রামের রাজাকার কমান্ডার গাজী আবদুল মান্নান, মধ্যপাড়া গ্রামের অ্যাডভোকেট এ টি এম শামসুদ্দিন আহমেদ, তাঁর ভাই সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন এ টি এম নাসির উদ্দিন আহমেদ ও খুদির জঙ্গল গ্রামের হাফিজ উদ্দিন। এ ছাড়া আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত হচ্ছেন হাইদনখালি গ্রামের আজহারুল ইসলাম। তাঁদের মধ্যে শামসুদ্দিন আহমেদ কারাগারে আছেন এবং বাকি চারজন পলাতক। শামসুদ্দিন আহমেদ পালিয়ে থাকা অবস্থায় ২০১৪ সালের ২৭ নভেম্বর পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন।
দণ্ডাদেশপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় অপহরণ, নির্যাতন, হত্যা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয় আদালতে। এর মধ্যে রয়েছে একাত্তরের ২৭ অক্টোবর করিমগঞ্জের আয়লা গ্রামে আটজনকে গুলি করে হত্যা, ২৩ আগস্ট উপজেলা ডাকবাংলোতে শান্তি কমিটির কার্যালয়ে একজনকে অপহরণ করে নির্যাতন ও হত্যা, ২৫ আগস্ট পূর্ব নবাইদ কালীপুর গ্রামের এক নারীসহ দুজনকে অপহরণ করে নির্যাতন ও হত্যা, ৭ সেপ্টেম্বর রামনগর গ্রামে এক সংখ্যালঘুকে আটক করে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা, ১৫ সেপ্টেম্বর আতকাপাড়া গ্রামে ২০-২৫টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ২৬ সেপ্টেম্বর খুদির জঙ্গলে একজনকে অপহরণ ও হত্যা এবং ১৩ নভেম্বর আয়লা গ্রামের একজনকে অপহরণ ও হত্যা।