জামিন-জরুরি আবেদনের নিষ্পত্তিতে খোলা থাকবে বিশেষ জজ আদালত
জামিন ও অতি জরুরি ফৌজদারি আবেদন নিষ্পত্তি করতে আগামী ২৫ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশেষ জজ আদালত ও বিশেষ বিভাগীয় জজ আদালত ভার্চুয়ালি খোলা থাকবে। একইসঙ্গে সারা দেশে অধস্তন আদালতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শারীরিক উপস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট শাখায় (সেরেস্তা) দেওয়ানি ও ফৌজদারি আপিল, এনআই অ্যাক্টের ১৩৮ ধারায় নতুন মামলা করার অনুমতি দিয়েছেন সুপ্রিম কোট।
এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতির নির্দেশে গতকাল বৃহস্পতিবার পৃথক দুটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. গোলাম রব্বানী স্বাক্ষরে এসব বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
বিশেষ জজ আদালত সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রত্যেক বিভাগীয় বিশেষ জজ/বিশেষ জজ আদালত জামিন ও অতি জরুরি ফৌজদারি দরখাস্ত নিষ্পত্তি করার উদ্দেশে ভার্চুয়ালি আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। এই আদেশ ২৫ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পযর্ন্ত বলবৎ থাকবে।’
অপর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ পূর্বক শারীরিক উপস্থিতিতে দেওয়ানি ও ফৌজদারি আপিল এবং নেগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট অ্যাক্ট ১৮৮১ এর ১৩৮ ধারার অধীন মামলা সংশ্লিষ্ট সেরেস্তায় দায়ের করা যাবে। ক্ষেত্র মতে, দেওয়ানি ও ফৌজদারি আপিলের গ্রহণযোগ্যতা শুনানিসহ এতদসংক্রান্ত জরুরি দরখাস্ত ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে শুনানি করা যাবে। নেগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট অ্যাক্ট ১৮৮১ এর ১৩৮ ধারার অধীন দায়েরকৃত মামলায় শারীরিক উপস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর ১৮৯৮ এর ২০০ ধারার অধীন জবানবন্দি গ্রহণ করবেন। এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।’
দেশে দ্বিতীয় পর্যায়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ৫ এপ্রিল থেকে সারা দেশে অধস্তন আদালত বন্ধ রয়েছে। শুধু জরুরি জামিন ও রিমান্ড সংক্রান্ত বিষয় শুনানির জন্য ম্যাজিস্ট্রেট আদালত খোলা রাখা হয়েছিল। এ অবস্থায় নতুন সিদ্ধান্ত জানালেন সুপ্রিম কোর্ট।