ময়মনসিংহে প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় আওয়ামী লীগনেতা আমিনুল ইসলাম আমিনের ওপর হামলা চালিয়ে তাঁর দুই পা ভেঙে দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৩০ মে) বিকেলে উপজেলার পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা-জনতার মঞ্চের উদ্যোগে এই বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
আটানি বাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে পুরাতন বাসস্ট্যোন্ড এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। এ সময় ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়ক আধা ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে বিক্ষোভকারীরা।
প্রতিবাদ সমাবেশে আওয়ামী লীগনেতার পা ভেঙে দেওয়ার জন্য সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও পৌরসভার মেয়র বিল্লাল হোসেন সরকারকে দায়ী করা হয়। বিক্ষোভ চলাকালে মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) ১০ থেকে ১২ জন পুলিশ সদস্যকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
অ্যাডভোকেট ইদ্রিস আলী আকন্দের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই আকন্দ, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান দেবাশীষ ঘোষ বাপ্পী, মুক্তাগাছা শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বছির উদ্দিন, এ বি এম জহিরুল হক জহির, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক তথ্যবিষয়ক সম্পাদক মুশফিকুর রহমান মশিউর, আওয়ামী লীগনেতা বিল্লাল হোসেন মণ্ডল, ছাত্রলীগনেতা আকরাম হোসেন জনি প্রমূখ।
১৪ মে সকাল ১০টার দিকে মুক্তাগাছা উপজেলা পরিষদের সামনে তারাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। হামলা চালিয়ে তাঁর দুই পা ভেঙে দেওয়া হয়। এখন তিনি ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় উপজেলার বড়গ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিমকে হুকুমের আসামি করে ১১ জনের নামে মুক্তাগাছা থানায় মামলা করা হয়।
এ বিষয়ে আব্দুল হাই আকন্দ বলেন, হামলাকারীরা প্রতিমন্ত্রী ও বিল্লাল হোসেনের লোকজন। আমরা বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।
আমিনুল ইসলাম আমিনের ওপর হামলা এবং আজকের প্রতিবাদ সমাবেশ ও মিছিলের তথ্য নিশ্চিত করে মুক্তাগাছা থানার ওসি আব্দুল মজিদ বলেন, আজকের সমাবেশ থেকে প্রতিমন্ত্রী ও বিল্লাল হোসেন সরকারকে দায়ী করে বক্তারা বক্তব্য দিয়েছেন। মামলার সব আসামি এখন জামিনে আছেন।
এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, ‘কে কী করল না করল—সে বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। মামলা হয়েছে আইনে যা হওয়ার তাই হবে।’