তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন আরও ৫ জন

Looks like you've blocked notifications!
তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান। এনটিভির ফাইল ছবি

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে করা মামলায় আরও পাঁচজন সাক্ষ্য দিয়েছেন।  আজ রোববার (৪ জুন) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে এদিন পাঁচ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। 

সাক্ষ্য দেওয়া পাঁচজন হলেন—সোনালী ব্যাংক নৌ সদরদপ্তর শাখার ম্যানেজার খন্দকার শহিদুর রহমান, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল করপোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল করপোরেশনের ম্যানেজার অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন শহীদুল ইসলাম, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল করপোরেশের সেলস ম্যানেজার এ কে এম হামিদুর রহমান ও ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রকাশনা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য সোমবার তারিখ ধার্য করেন আদালত। 

নথি থেকে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১ নভেম্বর তারেক রহমান ও জোবায়দার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। বর্তমানে তারা পলাতক রয়েছেন।

আরজি থেকে জানা গেছে, ঘোষিত আয়ের বাইরে চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক।

মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। এরপর ২০০৮ সালে এই তিন জনের বিরুদ্ধে দাখিল করা হয় অভিযোগপত্র।

এদিকে, মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জোবায়দা। ওই বছরই এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। তবে এ সংক্রান্ত চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে রায় দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ওই মামলায় আট সপ্তাহের মধ্যে জোবায়দাকে বিচারিক আদালতে উপস্থিত হতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

উচ্চ আদালতের এ খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে ওই বছরই লিভ টু আপিল করেন জোবায়দা। এরপর প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ লিভ টু আপিল খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রাখেন।