আরেকটি এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের অনুমতি পেল সামিট গ্রুপ
দেশে তৃতীয় তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল স্থাপনের জন্য অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির নীতিগত অনুমোদন পেয়েছে সামিট গ্রুপ। গতকাল বুধবার (১৪ জুন) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে সরকারি ক্রয়বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিজিপি) বৈঠকে সামিট গ্রুপের ‘সামিট অয়েল অ্যান্ড শিপিং কোম্পানি লিমিটেডকে’ কক্সবাজারের মহেশখালীতে টার্মিনাল স্থাপনের অনুমোদন দেওয়া হয়।
দেশে ইতোমধ্যে দুটি এলএনজি টার্মিনাল রয়েছে—একটি কক্সবাজারের মহেশখালীতে যুক্তরাষ্ট্র ৫০০ এমএমসিএফডি ক্ষমতাসম্পন্ন এক্সেলরেট এনার্জি এবং অন্যটি একই এলাকায় একই ক্ষমতাসম্পন্ন সামিট গ্রুপ স্থাপন করেছিল।
এদিন সরকারি ক্রয় বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিজিপি) সভায় সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী। সভায় স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি, সার, ওষুধ, চিনি ও সয়াবিন তেল সংগ্রহের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
এলপি প্রতি ইউনিট ১৩ দশমিক ৯ মার্কিন ডলার দামে ৩৩ দশমিক ৬০ লাখ এমএমবিটিইউ এলএনজি সরবরাহ করবে যুক্তরাষ্ট্রের এক্সেলরেট এনার্জি। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির মাধ্যমে প্রায় ২৪৯ দশমিক ৯৯ কোটি টাকার ওষুধ সরবরাহ করবে এবং সেগুলো প্রায় ১৪ হাজার ২০০টি কমিউনিটি ক্লিনিক ব্যবহার করবে।
দানাদার ইউরিয়া টনপ্রতি ৩১৯ দশমিক ৮৭ ডলার মূল্যে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের কাছ থেকে ৩০ হাজার টন কিনবে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি)। প্রতিষ্ঠানটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছ থেকে একই পরিমাণ বাল্ক দানাদার ইউরিয়া কিনবে টনপ্রতি ৩১৯ দশমিক ৮৭ ডলার মূল্যে। বিসিআইসি কাতার থেকে একই পরিমাণ ব্যাগযুক্ত দানাদার ইউরিয়া আমদানি করবে টনপ্রতি ৩০৩ দশমিক ৩৩ ডলার মূল্যে।
সভা শেষে ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত মন্ত্রিপরিষদ সচিব সাঈদ মাহবুব খান বলেন, ‘প্রস্তাবিত টার্মিনালের রি-গ্যাসিফিকেশন ক্ষমতা প্রতিদিন ৫০ কোটি ঘনফুট এলএনজি (এমএমসিএফডি) হবে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলা রি-গ্যাসিফিকেশন সেবা নেওয়ার প্রস্তাব জমা দিয়েছে। এই অনুমোদন পেট্রোবাংলাকে টার্মিনাল স্থাপন প্রক্রিয়া শুরু করতে সহায়তা করবে।’
মাহবুব খান বলেন, ‘টেবিলে দুটি প্রস্তাব জমা পড়েছিল। এর মধ্যে একটি ছিল সিঙ্গাপুরের বেস সরবরাহকারীর কাছ থেকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের সাড়ে ১২ হাজার টন চিনি ক্রয় করা। উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে যার প্রতি টনের মূল্য ৪৭৭ দশমিক ৯ ডলার। অন্যটি ছিল সিটি এডিবল অয়েল লিমিটেড সরবরাহ করার জন্য ৮০ লাখ টন সয়াবিন তেল ক্রয় করার। এর প্রতি লিটারের দাম ধরা হয়েছে ১৬১ দশমিক ৩৭ টাকা।’