সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলায় প্রধান আসামিসহ ১৩ জন রিমান্ডে

Looks like you've blocked notifications!
জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যা মামলায় প্রধান আসামি ইউপি চেয়ারম্যান বাবুসহ ১৩ জনকে রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত। ছবি : এনটিভি

জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যা মামলায় প্রধান আসামি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুসহ সবাইকে রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার (১৮ জুন) বিকেলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর আহমেদ পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গতকাল শনিবার দুপুরে নিহত সাংবাদিক নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করার পর সন্ধ্যায় ৯ আসামিকে আদালতে সোপর্দ করে থানা পুলিশ। পরে তাদের কারাগারে পাঠান আদালত।

এদিকে ভোরে বকশীগঞ্জ থানায় মামলার প্রধান আসামিসহ চার আসামিকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। আজ দুপুরে প্রধান আসামি বাবুসহ চার জনকে জামালপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। পরে বিকেলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর আহমেদের আদালতে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত শুনানি শেষে প্রধান আসামি বাবুর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অপর আসামি রেজাউল করিম ও মনিরুজ্জামানকে চার দিন করে এবং জাকিরুল ইসলামকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক।

এদিকে, গতকাল কারাগারে পাঠানো ৯ আসামিকে আজ দুপুরে রিমান্ড শুনানির জন্য একই আদালতে তোলা হয়। শুনানি শেষে তাঁদেরও রিমান্ড মঞ্জুর করেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর আহমেদের আদালত। আসামিদের মধ্যে মো. গোলাম কিবরিয়া সুমন, মো. মিলন, মো. তোফাজ্জল ও মো. আইনাল হককে চার দিন করে এবং মো. কফিল উদ্দিন, মো. ফজলু মিয়া, মো. শহিদ, মো. মকবুল ও মো. ওহিদুজ্জামানকে তিন দিন করে রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত।

গত বুধবার রাতে বকশীগঞ্জে বাসায় ফেরার পথে উপজেলার পাটহাটি এলাকায় সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত হন সাংবাদিক নাদিম। পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে মারা যান তিনি। ময়নাতদন্তের পর গত শুক্রবার উপজেলার নিলক্ষিয়ার গোমেরচর গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে নাদিমের মরদেহ দাফন করা হয়। গতকাল শনিবার তাঁর স্ত্রী মনিরা বেগম ২২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত পরিচয় আরও ২০ থেকে ২৫ জনের বিরুদ্ধে বকশীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।