ঈদের ছুটি একদিন বাড়ানোর দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির

Looks like you've blocked notifications!
যাত্রী কল্যাণ সমিতির লোগোর ফাইল ছবি

দরজায় কড়া নাড়ছে মুসলিম ধর্মালম্বীদের অন্যতম প্রধান উৎসব ঈদুল আজহা। এই ঈদেও নাড়ির টানে কর্মস্থল থেকে গ্রামের বাড়ি ফিরবেন মানুষেরা। এতে করে চাপ বাড়বে সড়কে। এতে করে সৃষ্টি হতে পারে বিশঙ্খৃল পরিস্থিতি। এ থেকে বাড়ি ফেরা মানুষকে রেহাই দিতে পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি একদিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

আজ রোববার (১৮ জুন) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘২৮ থেকে ৩০ জুন ঈদুল আজহার সরকারি ছুটি। এর সঙ্গে ২৭ জুন একদিন ছুটি বাড়ানোর দাবি করছি আমরা।’

মোজাম্মেল হক বলেন, ‘এবারের ঈদে ঢাকা থেকে প্রায় ৮০ লাখ মানুষ গ্রামের বাড়িতে যেতে পারেন। নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর রাজধানীর আশপাশের এলাকা থেকে ৩০ লাখের বেশি মানুষ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করতে পারেন। ২৯ জুন পবিত্র ঈদুল আযহা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ঈদের আগে ছুটি থাকে একদিন। সেদিন একসঙ্গে সব যাত্রী সড়কে নামলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। তাই ২৭ জুন সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হলে চাপ কিছুটা কমতে পারে।’

ঈদ যাত্রায় বিড়ম্বনা এড়াতে পরিবারের সদস্যদের ধাপে ধাপে গ্রামের বাড়ি পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

এবারের ঈদযাত্রায় দুর্ঘটনা-প্রাণহানি বাড়ার শঙ্কার কথা জানিয়ে সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, সুযোগ পেলে রাজধানী থেকে আট থেকে দশ লাখ মোটরসাইকেল চালক দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যেতে পারেন। এতে ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হলেও দুর্ঘটনা-প্রাণহানি বেড়ে যেতে পারে।

মোটরসাইকেলে ঈদযাত্রার সুযোগ বন্ধের দাবি করছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমরা ঝুঁকির কথা বলছি। মোটরসাইকেলে ঈদযাত্রা বন্ধের দাবি করেনি। ঝুঁকি নিরসনের দায়িত্ব সরকারের।’

পশুবাহী যানের পাশাপাশি সড়কের ওপর হাট ঈদযাত্রায় ভোগান্তি বাড়াতে পারে বলেও আশঙ্কা করেছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। তারা রাজধানীর প্রবেশ পথগুলো উন্মুক্ত রাখা, রাস্তা থেকে পশুহাট অপসারণ, ফুটপাত-রাস্তা হকারসহ অবৈধ পার্কিং মুক্ত করার দাবি জানিয়েছে।