বাগেরহাটে আ.লীগ নেতার হত্যাকারী দুই ঘাতক গ্রেপ্তার

Looks like you've blocked notifications!
দলীয় প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত বাগেরহাট পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ আনারুল ইসলাম আনা। ছবি : এনটিভি

বাগেরহাটে দলীয় প্রতিপক্ষের হামলায় বাগেরহাট পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ আনারুল ইসলাম আনা নিহতের ঘটনায় দুই ঘাতককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার (১৯ জুন) ভোর রাতে অভিযান চালিয়ে কিলিং মিশনে অংশ নেওয়া কালাম বয়াতি (৪৫) ও আবু বক্কর সিদ্দিকী নিভাসকে (৩০) পুলিশ গ্রেপ্তার করে। বাগেরহাট মডেল থানা পুলিশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

গ্রেপ্তারকৃত কালাম বয়াতি বাগেরহাট নাগেরবাজার এলাকার ও আবু বক্কর সিদ্দিকী নিভাস দড়াটানা এলাকার বাসিন্দা।

শনিবার (১৭ জুন) দুপুরে পিরোজপুর-বাগেরহাট মহাসড়কে শহরতলীর চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্রের সামনের চিংড়ি ঘেরে বাগেরহাট পৌর যুবলীগের সদস্য সোহেল হাওলাদার ওরফে কালা সোহেলের নেতৃত্বে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা শেখ আনারুল ইসলাম আনাকে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক হওয়ায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে বিকেল ৪টায় এই আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু হয়। নিহত আওয়ামী লীগ নেতা শেখ আনা বাগেরহাট পৌর শহরের বাসাবাটি এলাকার আব্দুল গনি শেখের ছেলে।

নিহত আওয়ামী লীগ নেতা শেখ আনার স্ত্রী মাহফুজা বেগম বাদী হয়ে বাগেরহাট মডেল থানায় পৌর যুবলীগের সদস্য সোহেল হাওলাদার ওরফে কালা সোহেলকে প্রধান করে ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৬ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পরপরই পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে বাগেরহাট শহর থেকে আওয়ামী লীগ নেতার কিলিং মিশনের অংশ নেওয়া তিন নম্বর আসামি কালাম বয়াতি ও ১০ নম্বর আসামি আবু বক্কর সিদ্দিকী নিভাসকে গ্রেপ্তার করে। তবে, পুলিশ এখনো বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী নেতার কথিত পালকপুত্র পৌর যুবলীগের সদস্য সোহেল হাওলাদার ওরফে কালা সোহেল ও তার ভাই জুয়েল হাওলাদারসহ কিলিং মিশনে অংশ নেওয়া অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি। 

বাগেরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম জানান, আওয়ামী লীগ নেতা আনারুল ইসলাম ওরফে আনা নিহতের ঘটনায় তার স্ত্রী মাহফুজা বেগম বাদী হয়ে সোমবার ভোর রাতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পরপরই পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে বাগেরহাট শহর থেকে আওয়ামী লীগ নেতার কিলিং মিশনের অংশ নেওয়া তিন নম্বর আসামি কালাম বয়াতি ও ১০ নম্বর আসামি আবু বক্কর সিদ্দিকী নিভাসকে গ্রেপ্তার করেছে। কালা সোহেলসহ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।