ঢাকায় যাচ্ছে মেহেরপুরের ‘রাজাবাবু’

Looks like you've blocked notifications!
ঢাকা যাচ্ছে মুজিবনগরের ‘রাজাবাবু’। ছবি : এনটিভি

ঢাকা যাচ্ছে মুজিবনগরের ‘রাজাবাবু’। প্রায় আড়াই টন ওজনের রাজাবাবুকে শেষবারের মতো দেখতে ইনছান আলীর বাড়িতে জমেছে এলাকাবাসীর ভিড়। ঢাকায় তেজগাঁও খেলার মাঠ পশুর হাটে পাওয়া যাবে দেশসেরা রাজাবাবুকে। আজ বুধবার (২১ জুন) বিকেলে ট্রাকে করে রাজাবাবুকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন তার মালিক ইনছান আলী।

মালিক ইনছান আলী বলেন, ‘তেজগাঁও খেলার মাঠের ওই হাটে রাজাবাবুর জন্য মঞ্চ তৈরি হয়েছে। ওখানেই আজ ট্রাকে করে নিয়ে যাচ্ছি।’

রাজাবাবুকে শেষবারের মতো গোসল করিয়ে খাইয়ে দিয়েছেন ইনছান আলীর স্ত্রী শাহিনা খাতুন ও মেয়ে সেজুতি। শেষবারের মতো আদর ও ভালোবাসা দিয়ে চোখের পানি ফেলেছেন তাঁরা। কারণ, সাড়ে চার মাস বয়সী রাজাবাবুকে নিয়ে এসে অতি আদর যত্নে শাহিনা, সেজুতিসহ বাড়ির মালিক ইনছান আলী তাকে লালন-পালন করেন।

আজ যখন রাজাবাবুকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ঢাকার উদ্দেশে তখন এলাকা ও আশপাশ থেকে শত শত মানুষ ভিড় করে তাকে দেখতে। ইনসান আলী তাঁর রাজাবাবুর দাম হাঁকিয়েছেন ৩৫ লাখ টাকা। গত বছর কোরবানিতে রাজাবাবুর দাম হাঁকানো হয়েছিল ১৫ লাখ টাকা। তবে, ক্রেতারা ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত দাম বলেছিলেন। সে দামে না বিক্রি করে রাজাবাবুকে আরও একটি বছর লালন-পালন করেন ইনছান আলী।

ইনসান আলী জানান, গরুটির ওজন ৬০ মণের উপরে। রাজাবাবুই এ বছরের কোরবানি ঈদে দেশের সবচেয়ে বড় গরু বলে দাবি করছেন তিনি।

ঢাকায় যাওয়ার পথে এই প্রতিবেদককে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইনসান আলী জানান, যাওয়ার পথে রাজাবাবুর ওজন মাপার জন্য স্কেলে উঠানো হয়। সেখানে রাজাবাবুর ওজন হয়েছে দুই হাজার ৬০০ কেজি (৬৫ মণ)।

জানা গেছে, গরুর মালিক মোনাখালি গ্রামের ইনছান আলী ও তার পরিবারের লোকজন আদর-যত্নের পাশাপাশি রাজাবাবুর স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য সার্বক্ষণিক প্রাণি চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন।

ইনছান আলী বলেন, ‘চার মাস বয়সী হলস্টেইন ফ্রিজিয়ান জাতের রাজাবাবুকে ৮০ হাজার টাকায় কিনেছিলাম চার বছর আগে। পরিবারের একজন সদস্যের মতো করেই পরম আদর-যত্নে লালন-পালন করে বড় করেছি তাকে। আদর করেই গরুটির নাম রেখেছিলাম মুজিবনগরের রাজাবাবু। বিশাল আকৃতির এই রাজাবাবুর খাদ্য তালিকায় আছে কাঁচা ঘাস, সয়াবিন খৈল, ভুট্টা, ছোলা, গমের ভূষি, কলা ও বিচালি।'

ইনছান আলী জানান, রাজাবাবুকে দিনে ২০ কেজি দানাদার খাবার খেতে দিতে হয়। দানাদার খাবার সকালে ১০ কেজি এবং রাতে ১০ কেজি দিয়ে থাকেন।

এলাকাবাসী জানায়, রাজাবাবুকে নিয়ে তারা অনেকেই অহংকার বোধ করে। বাড়ির পাশে অনেকেই গরু পালন করছে। তাদের মুখ থেকে রাজাবাবুর কথা শুনে দেখতে এসেছে অনেকেই। রাজাবাবুকে অনেক ভালো লাগছে তাদের। বিশাল আকৃতির এই রাজাবাবুই দেশসেরা হতে পারে বলে মনে করছে তারা।