সরকারি টাকায় বিদেশ ভ্রমণ, ওয়ার্কশপ ও সেমিনারে যাওয়া বন্ধ

Looks like you've blocked notifications!

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে চলতি অর্থবছরে সরকারি ব্যয় কমাতে নতুন করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় সব ধরনের বিদেশ ভ্রমণ, ওয়ার্কশপ ও সেমিনারে অংশগ্রহণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে মোটরযান, জলযান ও আকাশযান কেনার ক্ষেত্রে বরাদ্দকৃত ব্যয় বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। বরাদ্দকৃত ব্যয় বন্ধ থাকবে স্থাপনা খাতেও। ভূমি অধিগ্রহণ খাতেও বন্ধ থাকবে ব্যয়। আজ রোববার (২ জুলাই) অর্থ মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করেছে।

ওই পরিপত্রে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ্রতা সাধনের লক্ষ্য পরিচালনা ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, করপোরেশন, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

বরাদ্দকৃত অর্থ কোন খাতে কীভাবে ব্যয় করা যাবে তা জানিয়ে পরিপত্রে বলা হয়, বিদ্যুত খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের সর্বোচ্চ ৭৫ শতাংশ ব্যবহার করা যাবে। পেট্রোল, ওয়েল ও লুব্রিকেন্ট এবং গ্যাস জ্বালানি খাতে বরাদ্দের সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ খরচ করা যাবে।

পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় বরাদ্দকৃত অর্থের ব্যয় থাকার কথা জানিয়ে পরিপত্রে বলা হয়, আবাসিক ভান, অনাবাসিক ভবন, অন্যান্য ভবন ও স্থাপনা খাতে বরাদ্দের ব্যয় বন্ধ থাকবে। মোটরযান, জলযান ও আকাশযানের ক্ষেত্রেও একই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে, ১০ বছরের অধিক পুরোনো মোটরযান প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে ব্যয় করা যাবে, এর জন্য আগে থেকেই অনুমোদন নিত হবে অর্থ বিভাগের।

এদিকে, ভূমি অধিগ্রহণ খাতে ব্যয় বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওই পরিপত্রে। বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সরকারি খরচে বৈদিশিক ভ্রমণ, ওয়ার্কশপ ও সেমিনারে অংশগ্রহণ। তবে, অত্যাবশ্যকীয় বিবেচনায় সীমিত আকারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে বিদেশ ভ্রমণ করা যাবে।

পরিপত্রে অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে, বিদেশি কোনো সরকার বা প্রতিষ্ঠান বা উন্নয়ন সহযোগীর আমন্ত্রণে ও তাদের অর্থায়নে আয়োজিত বিদেশি প্রশিক্ষণে সরকারি কর্মকর্তারা বিদেশ ভ্রমণে যেতে পারবেন। বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয় বা দেশ থেকে দেওয়া স্কলারশিপ, ফেলোশিপের আওতায় বিদেশি অর্থায়নে মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে অধ্যয়ন করতে পারবেন। এ ছাড়া ঠিকাদার, সরবরাহকারী বা পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে সরকারি কর্মকর্তা ও কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন কর্মকর্তারা পণ্যের গুণগত মান নিরীক্ষা করার জন্য বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন।

এদিকে, এক খাতের অর্থ অন্য খাতে পুনঃ উপযোজন করা যাবে না বলে পরিপত্রে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে জারিকৃত এ পরিপত্র অবিলম্বে কার্যকরের কথা বলা হয়েছে।