ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও উঁচুতে নিতে হবে : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সঙ্গে সংস্কৃতি মন্ত্রাণলয়ের অফিসে আইসিসিআরের মহাপরিচালক কুমার তুহিন সাক্ষাৎ করেন। ছবি : পিআইডি

‘ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও উঁচুতে নিতে হবে’ জানিয়ে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, ‘ঐতিহাসিকভাবে ভারত ও বাংলাদেশ বন্ধুপ্রতিম দেশ। এখন সময় এসেছে পারস্পরিক বন্ধনকে দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর করার।’

আজ মঙ্গলবার (১১ জুলাই) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব কালচারাল রিলেশনের (আইসিসিআর) মহাপরিচালক কুমার তুহিনের সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। এ সময় দুদেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় ও সহযোগিতা বৃদ্ধি, প্রত্নতত্ত্ব খাতে সহযোগিতা, ভারতে অনুষ্ঠেয় জি-২০ সম্মেলনে সাংস্কৃতিক দল পাঠানোসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। 

আইসিসিআরের মহাপরিচালক বলেন, ‘ভারতও পারস্পরিক সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করতে আগ্রহী। দুদেশের সম্পর্ক ও বন্ধনকে শক্তিশালী করার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে সাংস্কৃতিক কূটনীতি এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়। আসন্ন জি-২০ সম্মেলনে বাংলাদেশকে অতিথি রাষ্ট্র হিসাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশ একটি সাংস্কৃতিক প্রতিনিধিদল পাঠাতে পারে।’ 

এ বিষয়ে আইসিসিআর মহাপরিচালককে আশ্বস্ত করে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ এ সম্মেলনে সাংস্কৃতিক দল পাঠাবে।’

কে এম খালিদ বলেন, ‘আগামী সেপ্টেম্বরে দুদেশের শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক উৎসব আয়োজন করা যেতে পারে। এতে পারস্পরিক সাংস্কৃতিক বিনিময় আরও বেগবান হবে।’ 

কুমার তুহিন বলেন, ‘আইসিসিআর চারু ও কারুকলা, ভাষা, সংগীতসহ শিল্প-সংস্কৃতির বিভিন্ন শাখায় শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করে থাকে। আইসিসিআর বাংলাদেশের প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করেছে যারা ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে।’

বৈঠকে ঢাকাস্থ ভারতীয় দূতাবাসের উপহাইকমিশনার ড. বিনয় জর্জ, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব সুব্রত ভৌমিক, ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টার ঢাকার পরিচালক মৃন্ময় চক্রবর্তী, প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।