ধর্ষণের পর খুন, যুবক গ্রেপ্তার

Looks like you've blocked notifications!
পূবাইল থানা। ফাইল ছবি এনটিভির

গাজীপুরের পূবাইলে আট বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের পর ডোবায় ফেলে হত্যার অভিযোগে প্রতিবেশী এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই যুবক ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ রোববার (১৬ জুলাই) গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) পূবাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

হত্যাকাণ্ডের শিকার শিশুটি গাজীপুর মহানগরীর পূবাইল থানাধীন মাজুখান বাঘেরটেক এলাকার মেয়ে এবং স্থানীয় এক মাদ্রাসার ছাত্রী। আর গ্রেপ্তার যুবকের নাম আব্দুল্লাহ ফকির (২০)। তাঁর বাড়ি বাগেরহাটের মোল্লারটেক থানার কাচনা গ্রামে।

জিএমপির পূবাইল থানার এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিল্টন কুণ্ডু এজাহারের বরাত দিয়ে জানান, গত বুধবার (১২ জুলাই) দুপুরে আইসক্রিম খেতে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় শিশুটি। পরে বাড়ি না ফেরায় স্বজনরা বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পায়নি। এর পরের দিন বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সকালে বাড়ির পাশে বাঘেরটেক এলাকায় একটি ডোবায় ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে শিশুটির বাবা ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়ের মরদেহ শনাক্ত করেন। 

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহত শিশুর বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় আসামির বিরুদ্ধে হত্যা ও মরদেহ গুমের অভিযোগে পূবাইল থানায় শুক্রবার (১৪ জুলাই) রাতে মামলা করেন।

পূবাইল থানার ওসি জাহিদুর রহমান জানান, এ ঘটনায় শনিবার (১৫ জুলাই) ভোরে স্থানীয় মাজুখান এলাকা থেকে সন্দেহভাজন হিসেবে আব্দুল্লাহ ফকিরকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি পুলিশের কাছে ঘটনার দায় স্বীকার করেন। পরে তাকে ওই দিনই (শনিবার) আদালতে পাঠানো হলে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।