লক্ষ্মীপুরে ত্রিমুখী সংঘর্ষে সজিব খুন, চার মামলা

Looks like you've blocked notifications!
লক্ষ্মীপুরে ত্রিমুখী সংঘর্ষ-ভাঙচুরের সময় খুন হওয়া সজিব হোসেন। ছবি : এনটিভি

লক্ষ্মীপুরে বিএনপির পদযাত্রা ও আওয়ামী লীগের উন্নয়ন শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে ত্রিমুখী সংঘর্ষ-ভাঙচুর ও কৃষকদলনেতা সজিব হোসেন নিহতের ঘটনায় থানায় চারটি মামলা হয়েছে। আজ বুধবার (১৯ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৪টা থেকে ৬টা পর্যন্ত শহরের কলেজ রোড ও মজুপুর এলাকায় পুলিশ-বিএনপি-আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় কৃষকদলনেতা সজিব হোসেন খুন হন।

পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, নিহত সজিবের মেঝভাই মো. সুজন বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় মামলা করেছেন। কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম নুরুল আমিন রাজুর বাসভবন ও ব্যক্তিগত গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় একই থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশ বাদী হয়ে দায়িত্ব পালনে বাধা, হামলা চালিয়ে পুলিশ সদস্যদের আহত ও বিস্ফোরকসহ নাশকতার ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে পুলিশের করা দুই মামলার আসামিদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।

এদিকে দুপুর ১টার দিকে নিহত সজিবের গায়েবানা জানাজায় কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও জেলা কমিটির আহ্বায়ক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, সজিব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ছাত্রলীগ জড়িত। পদযাত্রায় হামলা চালানোসহ হতাহতের ঘটনায় আলাদা মামলা করা হবে। নিহত সজিব সদরের চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের ধন্যপুর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে এবং চন্দ্রগঞ্জ থানা কৃষকদলের সদস্য।

আজ রাত সাড়ে ৮ টার দিকে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হাছিবুর রহমান বলেন, ‘এখন পর্যন্ত বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো মামলা করা হয়নি। হামলাকারীদের নাম-পরিচয় সংগ্রহ করে মামলা করব।’

এদিকে আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু বলেন, ‘কলেজ রোড এলাকায় ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মী ছিল না। একজন পথচারীকে কে বা কারা হত্যা করেছে আমরা জানি না। বিএনপি এখন তাঁকে তাদের কর্মী বলে দাবি করে রাজনৈতিক ইস্যু তৈরি করতে চাচ্ছে।’

জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ বলেন, সজিব হত্যাকাণ্ড অরাজনৈতিক। তিনি বিএনপির পদযাত্রায় অংশ নিতেও আসেননি। পূর্ব শত্রুতার জেরে চার থেকে পাঁচজন লোক তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।