নেশাগ্রস্ত পথশিশুদের সুপথে ফেরাতে উঠান বৈঠক ও খাবার বিতরণ
ঢাকার নিম্ন আদালতে ভাসমান নেশাগ্রস্ত পথশিশুদের সুপথে ফিরিয়ে আনতে প্রতিনিয়ত উঠান বৈঠকের আয়োজন করে যাচ্ছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দুপুরে ঢাকার জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে কোতোয়ালি থানা পুলিশ ভাসমান নেশাগ্রস্ত পথশিশুদের নিয়ে এ বৈঠকের আয়োজন করে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কোতোয়ালি থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মোহাম্মদ নাজমুল হক, বারাকা নামক একটি নেশাগ্রস্ত পথশিশু আশ্রয় কেন্দ্রের (এনজিও) প্রতিনিধি পরিমল হেমব্রোম, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মনসুর রিপন এবং কোর্ট রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. গাফফার হোসেন ইমন। এরপর পথ শিশুদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়।
এর আগে গত ১৯ জুলাই কোতোয়ালি থানাধীন ওয়াইজঘাট এলাকায় নেশাগ্রস্ত ও আইনের সাথে বিভিন্ন ধরনের সংঘর্ষে জড়িত পথশিশুদের নিয়ে উঠান বৈঠক হয়। এতে মাদক সেবন ও সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এলাকায় বিভিন্ন রকম ছোটখাট চুরির মতো আইনের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত প্রায় ৪০ পথশিশুকে কাউন্সেলিং করা হয়। এছাড়া বারাকার সহায়তায় তাদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয় এবং গোসলের ব্যবস্থা করা হয়, যা অব্যাহত থাকবে।
এই শিশুদের মধ্যে কাউন্সেলিংয়ে একাংশ সংশোধিত হয়েছে এবং এদের কেউ কেউ বারাকা আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়মিত এবং অনিয়মিত আশ্রয়ে থেকে সেবা গ্রহণ করছে।
এছাড়া ঢাকা জেলা ও দায়রা আদালতের কোর্ট প্রাঙ্গণে ‘বঙ্গবন্ধু চত্বরে’ ১২ পথশিশুকে কাউন্সেলং করা হয়। এতে ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নাজির মো. খাদেমুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। খাবার বিতরণের পাশাপাশি শিশুদের গোসল ও টয়লেটের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
ওয়াইজঘাটে চশমা ব্যবসায়ী মানিক মিয়ার সহায়তায় এবং সিএমএম কোর্ট এলাকায় ঈদুল আজহার প্রাক্কালে স্থানীয় বাসিন্দা ব্যারিস্টার মো. মনির হোসেনের সহায়তায় গোসলের সুবিধার্থে এসব পথশিশুদের মধ্যে প্যান্ট-গেঞ্জি ও গামছা এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দল্লাহ আল মুনসুর রিপনের সহায়তায় ব্রাশ ও টুথ পেস্ট বিতরণ করা হয়।
আয়োজকরা আশা করছেন, বিভিন্ন অপরাধে জড়িত এসব ছিন্নমূল পথশিশুদেরকে পুলিশের কাউন্সেলিং, বাবুবাজার এলাকায় বিদ্যমান নেশাগ্রস্ত পথশিশুদের আশ্রয়কেন্দ্র বারাকা এনজিওর সহায়তায় খাদ্য বিতরণ, আশ্রয়, পড়াশোনা, বিনোদনের সুবিধা প্রধান করা সম্ভব হবে। এছাড়া বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান এবং সমাজের বিত্তবান ও আগ্রহী ব্যক্তিদের সহায়তায় তাদের প্রয়োজনীয় বস্ত্রের ব্যবস্থা করাসহ আগামী ছয় মাসের মধ্যে কোতোয়ালি থানাধীন সদরঘাট, ওয়াইজঘাট, বাবুবাজার, মালিটোলা পার্ক ও কোর্টকাচারি এলাকা থেকে শতাধিক পথশিশুকে বারাকার শেল্টারে সরিয়ে নিয়ে পুনর্বাসন করা যাবে।