সজিব হত্যায় ছাত্রলীগ-আ.লীগের বিরুদ্ধে মামলা হবে : এ্যানি
কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, ‘এসপি (পুলিশ সুপার) সাহেব আপনার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হবে। ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধেও মামলা হবে।’ আজ বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে লক্ষ্মীপুরে বিএনপির আয়োজিত শোক ও প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এ্যানি চৌধুরীর লক্ষ্মীপুরের গোডাউন রোড এলাকার বাসভবন প্রাঙ্গণে এই শোক ও প্রতিবাদ সভা আয়োজন করা হয়।
শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, ‘এসপি মাহফুজ্জামান আশরাফ আওয়ামী পরিবারের লোক। শুনেছি তাঁর ভালো পোস্টিং হয়নি। এখন ভালো পোস্টিংয়ের জন্য আমাদের ওপর গুলি চালিয়ে ও মামলা করে আওয়ামীকর্মী সেজেছেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এএসপিকে উইড্রো করতে হবে। তা না হলে ব্যবস্থা রয়েছে। এ এসপির বিচার হবে। তার সঙ্গে জড়িত সব কর্মকর্তারও বিচার হবে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে। এসপি সাহেব আপনার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হবে। ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধেও মামলা হবে।’
এ্যানি চৌধুরী আরও বলেন, ‘মামলার কাছে আমরা মাথা নত করার লোক নই। মামলা-হামলা-গ্রেপ্তারসহ সব রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করেই আমরা রাজনীতি করি। শেখ হাসিনার পতন নিশ্চিত করতেই আমরা মাঠে নেমেছি। এ এক দফা কোনো বাধা মানবে না। সজিবের শোককে শক্তিতে পরিণত করব। তাঁর রক্ত বৃথা যেতে দেব না। সজিবের হত্যাকারী কে? কারা তাঁকে হত্যার করতে লেলিয়ে দিয়েছে তা আপনি (এসপি) জানেন না? সজিবের ভাইকে বাড়ি থেকে তুলে এনে অজ্ঞাত পরিচয় আসামি করে মামলা করেছেন। এতে বুঝা যায় আপনিও এর সঙ্গে জড়িত। এজন্যই আপনার বিরুদ্ধে মামলা করব। মামলা আমরা রেডি করেছি।’
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিনসাবুর সভাপতিত্বে শোক সবায় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য নিজাম উদ্দিন বুইয়া, হারুনুর রশিদ বেপারী, সদর (পূর্ব) উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাঈন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজ, লক্ষ্মীপুর পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান লিটন, সদস্য সচিব অধ্যাপক নিজাম উদ্দিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মহসিন কবির স্বপন, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ, জেলা কৃষকদলের সভাপতি মাহবুব আলম মামুন ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল প্রমুখ।
গত মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) লক্ষ্মীপুরে ত্রিমুখী সংঘর্ষ ও সজিব হত্যার ঘটনায় সদর মডেল থানায় বুধবার (১৯ জুলাই) রাতে চারটি পৃথক মামলা করা হয়েছে। সজিবের মেঝো ভাই মো. সুজন বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে মামলা করেছেন। মজুপুর এলাকায় কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম নুরুল আমিন রাজুর বাসভবন ও ব্যক্তিগত গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় তিনি নিজেই ৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। এছাড়া দায়িত্বরত কাজে বাধা ও পুলিশকে আহত করার ঘটনায় সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হোসেন বাদী হয়ে বিএনপি নেতা এ্যানি চৌধুরীকে প্রধান করে ২৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত এক হাজার ৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। বিস্ফোরক ও নাশকতার ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনিছুর রহমান বাদী হয়ে আরও একটি মামলা করেন। এ মামলাতেও বিএনপি নেতা এ্যানি চৌধুরীকে প্রধান করে ৩০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত এক হাজার ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।