প্রতিবাদ নয়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে : টুকু
বঞ্চিত তরুণদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তারুণ্যের সমাবেশ করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন টুকু। তিনি বলেন, ‘তরুণ সমাজ প্রস্তুত, জনগণের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। তারা এখন জালিম সরকারের কাছ থেকে মুক্তি চায়। এখন আর কোনো প্রতিবাদ নয়, সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’
আজ শুক্রবার (২১ জুলাই) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শনিবারের বিভাগীয় তারুণ্যের সমাবেশ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন যুবদল সভাপতি।
সুলতান সালাউদ্দীন টুকু বলেন, ‘ভোট ও চাকরি থেকে বঞ্চিত তরুণদের নিয়ে আমাদের তারুণ্যের সমাবেশ। ইতোমধ্যে পাঁচটি বিভাগে সফলভাবে তারুণ্যের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিএনপির আন্দোলন ক্ষমতায় যাওয়ার আন্দোলন নয়। জনগণের ভোটাধিকার ও বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আন্দোলন করছে বিএনপি। এই আন্দোলনে স্বৈরাচারী সরকারের দোসর ছাড়া সব দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল এক হয়েছে।’
যুবদলের সভাপতি আরও বলেন, ‘তারুণ্যের সমাবেশের মাধ্যমে তরুণ সমাজ উজ্জীবিত হচ্ছে। তাদের মধ্যে জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। তারা বারবার জীবন দিয়ে প্রমাণ করছে তারা শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকবে।’
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে সুলতান সালাউদ্দীন টুকু বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দেশজুড়ে রক্তাক্ত সহিংসতা চালাচ্ছে। সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের মাঠে নামিয়ে দিয়েছে। মানুষের রক্ত ঝরানো, গুম-খুন শেখ হাসিনার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের নমুনা। যারা রক্ত ঝরাতে পারে তাদের অধীনে কেমন সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, তা সবার কাছে অনুমেয়। আওয়ামী লীগ যে গণতন্ত্র ও মনুষ্যত্বের রাজনীতি করে না তার প্রমাণ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপিসহ বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের ওপর রক্তাক্ত ও সশস্ত্র আক্রমণ।’
সুলতান সালাউদ্দীন বলেন, ‘দেশ পরিচালনা করে তরুণরা। যেকোনো কাজেই তরুণদের মুখ্য ভূমিকা থাকে। এখন পরিস্থিতি উত্তরণে তরুণরা ভূমিকা রাখবে। ১৫ বছর ধরে যারা ভোট দিতে পারেনি, তাদের এই সমাবেশ। এই তরুণরা সরকার পতনের আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করবে এবং সব অন্যায়ের প্রতিবাদ করবে।’
এ সময় সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে নামার আহ্বান জানান যুবদলের সভাপতি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, যুবদলের সহসভাপতি জাকির হোসেন সিদ্দিকী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাবেদ হাসান স্বাধীন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি নুরুজ্জামান, যোগাযোগ সম্পাদক গিয়াস উদ্দীন মামুনসহ আরও অনেকে।