স্বাধীনতা বিরোধীদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা দেখতে চাই না : শিল্পকলার ডিজি

Looks like you've blocked notifications!
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী আজ শুক্রবার চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা শিশু সংগীত ও শিশু নৃত্যদলের প্রযোজনা নির্মাণ কর্মসূচির দিনব্যাপী কর্মশালার সমাপনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। ছবি : এনটিভি

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক (ডিজি) লিয়াকত আলী লাকী বলেছেন, আজকের শিশু আমাদের ভরসা। এই শিশুরাই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবেই। আর তাদের দায়িত্ব আমাদেরই নিতে হবে। সারা বিশ্বে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। সেই অপপ্রচারকে সংস্কৃতিকর্মীদেরই রুখতে হবে। দেশকে, সমাজকে ও বিশ্বকে বাঁচাতে আমাদের সকলের দায়িত্ব নিতে হবে। স্বাধীনতা বিরোধীদের গাড়িতে আমরা আর জাতীয় পতাকা দেখতে চাই না।

আজ শুক্রবার (২১ জুলাই) দুপুরে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে চাঁদপুর জেলা শিশু সংগীত ও শিশু নৃত্যদলের প্রযোজনা নির্মাণ কর্মসূচির দিনব্যাপী কর্মশালার সমাপনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে লাকী এসব কথা বলেন।

লিয়াকত আলী লাকী বলেন, ‘সারা দেশেই এই কর্মসূচি চলছে। আমাদের লক্ষ্য একটি শক্তিশালী প্রতিভার বিকাশ ঘটানো। একদিনের প্রশিক্ষণের পরই আজকে পরিবেশনা হলো। এটা স্মার্ট বাংলাদেশের একটি প্রারম্ভিক লক্ষণ। শিল্পের বৈশিষ্ট্য প্রতিভার বিকাশ। সম্ভাবনাগুলো নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। শিশুদের বঙ্গবন্ধু ভালোবাসতেন এবং তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসাধারণভাবে ভালোবাসেন। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ হবে। আমরা কেন অপেক্ষা করব ২০৪১ সালের জন্যে। আজকে দর্শকের হাততালির মাধ্যমে বলা যায়, চাঁদপুর স্মার্ট বাংলাদেশের একটা অংশ হয়েছে। আর তা অব্যাহত রাখতে হবে।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) এ এস এম মোসা এবং সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা কালচারাল অফিসার দিতি সাহা।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিশু সঙ্গীত দলের পরিবেশনায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর কথা ও সুরে গান ‘আমরা সবাই মঞ্চ কুড়ি নটনন্দনে ফুটব’। এ ছাড়া জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিশু সঙ্গীত দল ও নৃত্য দলের পরিবেশনায় মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। দিনব্যাপী এ কর্মশালায় নৃত্য প্রশিক্ষণ পরিচালনা ও কোরিওগ্রাফি করেছেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত প্রশিক্ষক ইয়াসমিন আলী ও নৃত্য প্রশিক্ষক এস কে জাহিদ।