রুবেল হত্যা : সাত আসামির রিমান্ড, একজনের স্বীকারোক্তি
রাজধানীর শাহজাহানপুরের গুলবাগে থানা ছাত্রলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ অলিউল্লাহ রুবেলকে (৩৬) কুপিয়ে হত্যার মামলায় গ্রেপ্তার সাত আসামির চার দিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার (২৩ জুলাই) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিন এই আদেশ দেন।
এদিন আদালতে সাত আসামিকে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা স্বপন মিয়া। হাজির করে সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন—আলিফ হুসাইন (২১), রবিউল সানি (২১), মেহেদী হাসান (১৯), মো. শাহজালাল (৩৭), রফিকুল ইসলাম (৩৮), নুর আলম (৪২) ও সুমন মীর (২৮)।
এদিকে, একই মামলার অপর আসামি হাবিব আহসান (২২) নামের একজনকে হাজির করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন স্বপন মিয়া। আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন। ।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) শাহ আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নথি থেকে জানা গেছে, গত ২০ জুলাই রাতে রুবেল শাহজাহানপুরের শান্তিবাগ এলাকায় নিজ বাসায় ফিরছিলেন। শাহজাহানপুরের গুলবাগ জোয়ারদার লেনে আসলে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যায়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে পঙ্গু হাসপাতাল এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মাথায়, ডান হাতে, কাঁধে, ডান পা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে।
নিহতের স্বজনরা জানান, রুবেল এক সময় শাহজাহানপুর থানা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক ছিলেন। মৃত্যুর আগে তিনি যুবলীগের রাজনীতি করতেন। কিন্তু, কোনো পদে ছিলেন না। রাজনীতির পাশাপাশি ব্যবসা করতেন তিনি।
এ ঘটনায় গত ২১ জুলাই নিহতের স্ত্রী কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য তানজিনা বাদী হয়ে শাহজাহানপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার পরের দিনই রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই আট আসামিকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) মতিঝিল বিভাগ।