ঢাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের ২১ নেতার পদত্যাগ, অভিযোগ অস্বীকার কেন্দ্রীয় কমিটির

Looks like you've blocked notifications!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ঢাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের পদত্যাগকৃত নেতারা। ছবি : এনটিভি

গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন ও দলীয় লেজুড়বৃত্তির অভিযোগ তুলে ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ২১ নেতা একযোগে পদত্যাগ করেছেন। আজ রোববার (২৩ জুলাই) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন ঢাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আসিফ মাহমুদ। এ সময় সাধারণ সম্পাদক আহনাফ সাঈদ খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুসরাত তাবাসসুমসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে, এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটি দাবি করেছে, শীর্ষ দুই নেতার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ গঠনতন্ত্রে নেই।

২১ নেতার পদত্যাগ প্রসঙ্গে আসিফ মাহমুদ তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ কোটা সংস্কার আন্দোলনের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গড়ে ওঠা একটি ছাত্র সংগঠন। কোনো প্রকার দলীয় লেজুড়বৃত্তি না করে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার থাকাই ছিল যার অন্যতম লক্ষ্য ও উদ্দেশে। প্রতিষ্ঠার ঘোষণাপত্র, গঠনতন্ত্রের প্রস্তাবনা ও অনুচ্ছেদ (লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য) এর ১নং ধারায় দলীয় দাসত্ব ও লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতির বাইরে স্বাধীন ধারায় ছাত্র রাজনীতি চর্চার মাধ্যমে ছাত্রদের যৌক্তিক দাবি এবং ন্যায়সঙ্গত অধিকার আদায়ে সোচ্চার ভূমিকা পালন করার কথা বলা হয়েছে।

ঘোষণাপত্র, গঠনতন্ত্রের প্রস্তাবনা ও অনুচ্ছেদ ৮ এর ১ নং ধারা লঙ্ঘন করে ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গণঅধিকার পরিষদের লেজুড়বৃত্তি করার অভিযোগ উত্থাপন করে ঢাবি, জাবি ও রাবি শাখা। এ ছাড়া লিখিত অভিযোগ জানান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদ।

লিখিত বক্তব্য ঢাবির এই ছাত্র বলেন, গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করায়, গঠনতান্ত্রিকভাবে তাদের পদ শুন্য হলেও সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদিব। অভিযোগ পরবর্তী গত দীর্ঘ দুই সপ্তাহেও কেন্দ্রীয় পরিষদ উক্ত বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। যার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠার ঘোষণাপত্র ও ছাত্র সমাজের প্রতি প্রতিশ্রুত আদর্শের বিচ্যুতি ঘটেছে বলে আমরা মনে করি। এমতাবস্থায় লেজুড়বৃত্তিহীন ছাত্র রাজনীতি প্রতিষ্ঠার আদর্শ ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আমরা বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা একযোগে পদত্যাগ করছি।

কেন্দ্রীয় দুই নেতার বিরুদ্ধে ঢাবি শাখার তোলা অভিযোগের জবাবে ছাত্র অধিকার পরিষদের দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ সানাউল্লাহ সাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা গঠনতন্ত্রের কোনো ধারায় উল্লেখ নেই। ছাত্র অধিকার পরিষদের খসড়া গঠনতন্ত্রটি প্রক্রিয়াধীন, এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আজ ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাবি শাখার ব্যানারে পদত্যাগের একটি সংবাদ সম্মেলন আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। কেন্দ্রীয় পরিষদ ওই বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।