পিবিআই প্রধানের মামলা থেকে সাবেক এসপি বাবুলকে অব্যাহতি   

Looks like you've blocked notifications!
সাবেক এসপি বাবুল আক্তার (বামে), পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার (মাঝে) ও সাংবাদিক ইলিয়াছ হোসাইন। ছবি : সংগৃহীত

পিবিআই প্রধান বনজ কুমারের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার ও তার বাবা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া। আজ মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জুলফিকার হায়াত এ আদেশ দেন। এদিন বিচারক সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন ও বাবুলের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আমলে নেন।

এছাড়া সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন বাবুল আক্তারের আইনজীবী শিশির মনির।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর ধানমন্ডি থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাটি করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার।

গত ৯ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন্স) মো. রবিউল ইসলাম আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় সিএমএম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলায় সাংবাদিক ইলিয়াস পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়। অভিযোগপত্রের অন্য দুই আসামি হলেন—বাবুল আক্তারের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবু ও বাবা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া।

মামলার এজাহারে বনজ কুমার বলেন, ‘আমার নেতৃত্বে তদন্ত সংস্থা পিবিআই চাঞ্চল্যকর মিতু হত্যা মামলা তদন্ত করছে। তদন্তকালে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি হিসেবে চিহ্নিত হলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জেলহাজতে থাকা বাবুল ও বিদেশে থাকা সাংবাদিক ইলিয়াসসহ বাকি আসামিরা মামলার তদন্ত ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে চাইছেন। তারা পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নেন।’

এজাহারে আরও বলা হয়, ‘আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্ররোচনায় কথিত সাংবাদিক ইলিয়াস গত ৩ সেপ্টেম্বর তার ফেসবুক আইডির মাধ্যমে একটি ডকুমেন্টারি ভিডিও ক্লিপ আপলোড করেন। এর আগেও মিতু হত্যা মামলার তদন্ত নিয়ে ইলিয়াস তার ইউটিউব চ্যানেল থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। ইলিয়াসের ভিডিওতে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া হয় ও বাবুলকে রিমান্ডে নির্যাতন করার অভিযোগ আনা হয়।’

এর আগে মিতু হত্যা মামলায় হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদারসহ ছয়জনের নামে মামলার আবেদন করেছিলেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তার। আবেদনে বনজ কুমার মজুমদার ছাড়া যে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয় তারা হলেন—পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের এসপি নাজমুল হাসান, চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটের এসপি নাঈমা সুলতানা, পিবিআইয়ের সাবেক পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা, এ কে এম মহিউদ্দিন সেলিম ও চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের পরিদর্শক কাজী এনায়েত কবির।

গত ৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ বেগম জেবুন্নেছার আদালতে আবেদনটি করা হয়। পরে ১৯ সেপ্টেম্বর তার সেই আবেদন খারিজ করে দেন আদালত।

২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে চট্টগ্রাম মহানগরের জিইসি মোড় এলাকায় খুন হন তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। চাঞ্চল্যকর এই মামলাটি পিবিআই তদন্ত করে ইতোমধ্যে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে এবং বিচার প্রক্রিয়া চলছে।