অর্থ আত্মসাৎ : আজিজ কো-অপারেটিভের চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রী কারাগারে

Looks like you've blocked notifications!
ঢাকা সিএমএম কোর্টের ফাইল ছবি

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের মামলায় আজিজ কো-অপারেটিভ কর্মাস অ্যান্ড ক্রেডিট সোসাইটির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী আফরোজা পারভীনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার (২৬ জুলাই) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেন এই আদেশ দেন

এদিন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন এই দম্পতি। শুনানি শেষে বিচারক জামিনের আবেদন নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

নথি থেকে জানা গেছে, আমানতের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাজুল ও তার স্ত্রী আফরোজাসহ ১১ জনকে আসামি করে মামলা করেন ঢাকার কাফরুলের বাসিন্দা ফেরদৌসি নাহার (৩৫)। মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, তিনি আসামিদের প্রতিষ্ঠান আজিজ কো-অপারেটিভ কমার্স অ্যান্ড ফাইন্যান্স ক্রেডিট সোসাইটি লি. ও আজিজ কো-অপারেটিভ কমার্স অ্যান্ড ফাইন্যান্স (এসিসিএফ) ব্যাংক লি. এর মিরপুর শাখার পাঁচটি অ্যাকাউন্টে বিভিন্ন মেয়াদে দুই লাখ ৫৫ হাজার ৫৬৫ টাকা আমানত হিসেবে জমা রাখেন।

এসব টাকার আমানতের মেয়াদ পূর্ণ হয়ে আরও এক লাখ ৬৭ হাজার ৯৪৬ টাকা লভ্যাংশসহ মোট চার লাখ ২৩ হাজার ৫১১ টাকা প্রাপ্য হয় মামলার বাদী। এরপর তিনি গত ২০১৯ সালের ২২ এপ্রিল আজিজ কো-অপারেটিভ কমার্স অ্যান্ড ফাইন্যান্স ক্রেডিট সোসাইটি লি. ও আজিজ কো-অপারেটিভ কমার্স অ্যান্ড ফাইন্যান্স ব্যাংক লি. এর মিরপুর, ঢাকা শাখায় গিয়ে দেখেন শাখা অফিসটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

পরবর্তীতে, ফেরদৌসি নাহার বিভিন্ন সময়ে দফায় দফায় রাজধানীর বিজয়নগরে অবস্থিত আজিজ কো-অপারেটিভ কমার্স অ্যান্ড ফাইন্যান্স ক্রেডিট সোসাইটি লি. ও এসিসিএফ ব্যাংক লি. এর প্রধান কার্যালয়ে চেয়ারম্যান এবং পরিচালকসহ আসামিদের সঙ্গে দেখা করেন। পাওনা টাকা আদায়ের জন্য তাগাদা দেন। কিন্তু, আসামিরা তাকে কোনো প্রকার টাকা ফেরত দেননি এবং নানা টালবাহানা করতে থাকেন। একপর্যায়ে আসামিরা বাদীকে টাকা দিতে অস্বীকার করে এবং তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে নিষেধ করে বিভিন্ন হুমকি দেয়।