দুই সিভিল সার্জনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট
বিদেশগামী যাত্রীদের করোনা পরীক্ষার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় খুলনার দুই সিভিল সার্জনসহ (বর্তমান ও সাবেক) ছয়জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক খুলনার উপসহকারী পরিচালক খন্দকার কামরুজ্জামান আজ বৃহস্পতিবার দুদক খুলনা সমন্বিত কার্যালয়ে এ চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, খুলনার বর্তমান সিভিল সার্জন ড. সুজাদ আহমেদ ও গোপলগঞ্জের সিভিল সার্জন (খুলনার সাবেক) ডা. নিয়াজ মোহাম্মদসহ মোট ছয়জন দুই কোটি ৬১ লাখ ৪৪ হাজার ৪০০ টাকা আত্মসাত করেন। এই চার্জশিটে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট প্রকাশ কুমার দাসকে প্রধান আসামি দেখানো হয়েছে ।
দুদক সম্মিলিত জেলা কার্যালয়ে দাখিল করা এই চার্জশিটে বলা হয়েছে, করোনার সময় বিদেশগামী যাত্রীর নমুনা পরীক্ষা করে মোট চার কোটি ২৯ লাখ ৯১ হাজার ১০০ টাকা আয় হয়। কিন্তু আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে সরকারি কোষাগারে মাত্র এক কোটি ৬৮ লাখ ৪৬ হাজার ৭০০ টাকা জমা করেন। বাকি দুই কোটি ৬১ লাখ ৪৪ হাজার ৪০০ টাকা পরস্পর যোগ সাজসে আত্মসাৎ করেন। এ ব্যাপারে ২০২১ সালের ১৮ নভেম্বর খুলনা সদর হাসপাতালের টেকনোলজিস্ট প্রকাশ কুমার দাসকে আসামি করে তৎকালীন সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ জিডি এবং মামলা করেছিলেন।
দুদক দীর্ঘ তদন্ত শেষে আজ মোট ছয় জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে। তাঁরা হলেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট প্রকাশ কুমার দাশ ও মো. রওশন আলী, খুলনা সদর হাসপাতালের ক্যাশিয়ার তাপসী সরকার, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. এস এম মুরাদ হোসেন, সিভিল সার্জন ও খুলনা সদর হাসপাতালের তৎকালীন সুপার ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ, এবং বর্তমান সিভিল সার্জন ও খুলনা সদর হাসপাতালের সুপার ড. সুজাত আহমেদ।