অনুমতি না পেয়েও রাজশাহীতে জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ

Looks like you've blocked notifications!
রাজশাহীতে পুলিশের অনুমতি না পেয়েও কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ।

রাজশাহীতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ। আজ শুক্রবার (২৮ জুলাই) সকালে এ কর্মসূচি পালন করে তারা।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ-সমাবেশ পালন করতে পুলিশের কাছে গত মঙ্গলবার দলের পক্ষ থেকে আবেদন করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আবেদনে তারা বলেছিল, শুক্রবার দুপুরে নগরীর হেতেমখাঁ এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করতে চায় তারা। সাহেববাজার ঘুরে মিছিলটি একই স্থানে শেষ করে সমাবেশ করতে চায়। তবে পুলিশ এই কর্মসূচি পালনের অনুমতি দেয়নি। তার পরও জামায়াত আজ কর্মসূচি পালন করে। তবে দুপুরে হেতেমখাঁ এলাকায় কর্মসূচি পালন না করে সকাল ৯টায় নগরীর ব্যস্ততম রেলগেট থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিল শেষে সমাবেশও করে তারা।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা, জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ অন্য নেতাদের মুক্তি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের দাবিতে এই বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। এতে জামায়াত-শিবিরের কয়েকশ নেতাকর্মী অংশ নেয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রাজশাহী মহানগরের আমির ড. কেরামত আলী।

রেলগেট থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে রাজশাহী-নওগাঁ সড়ক হয়ে প্রায় এক কিলোমিটার উত্তরে শালবাগান মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করা হয়। কয়েক মিনিট স্থায়ী এই সমাবেশে ড. কেরামত আলী ছাড়াও মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি এমাজ উদ্দিন মণ্ডল বক্তব্য দেন। এ সময় মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ আব্দুস সামাদ, যুব সেক্রেটারি জসিম উদ্দিন সরকার, ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজশাহী মহানগরের সভাপতি ওসামা রায়হান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি আহমেদ আব্দুল্লাহসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তবে পুলিশ আসার আগেই জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা কর্মসূচি শেষ করে চলে যায়।

অনুমতি না পেলেও নগরীতে জামায়াত মিছিল করতে পারে, এমন ধারণা থেকে রাণীবাজার, গ্রেটাররোড মসজিদ, হেতমখাঁ মসজিদ মোড়সহ কয়েকটি স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। তবে জামায়াতে ইসলামী সেসব স্থান থেকে মিছিল বের করেনি।

অনুমতি না পেয়েও নগরীতে জামায়াতের বিক্ষোভ-সমাবেশের বিষয়ে জানতে চাইলে নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, এ ধরনের একটি বিক্ষোভ-মিছিল হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন। এর বেশি কিছু তিনি বলতে চাননি।