কিশোরগঞ্জে দুদিনে জামায়াতের ২০ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

Looks like you've blocked notifications!
কিশোরগঞ্জে গ্রেপ্তারকৃত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা। ছবি : এনটিভি

কিশোরগঞ্জে দুইদিনে জামায়াতে ইসলামীর ২০ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। এরমধ্যে আজ রোববার (৩০ জুলাই) ১৩ জনকে আটক করা হয়। এর আগে পুলিশ গতকাল শনিবার জামায়াতে ইসলামীর কিশোরগঞ্জ জেলা নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা আজিজুল হকসহ সাতজনকে আটক করে। পরে তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ।

কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মাদ দাউদ জানান, আজ রোববার সকালে জেলা শহরের একরামপুরের করগাঁও বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে মিছিলের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় জেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ও বর্তমানে জামায়াতের অঙ্গ সংগঠন জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি খালিদ হাসান জুম্মন, জামায়াতে ইসলামীর সদর উপজেলা কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুল ওয়াহাব, ছাত্রশিবির বাজিতপুর উপজেলা শাখার সভাপতি আব্দুল হাকিম, ছাত্রশিবির পাকুন্দিয়া উপজেলা উত্তর শাখার সেক্রেটারি সাইফুল্লাহ মানসুর, ছাত্রশিবির পাকুন্দিয়ার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়ন সভাপতি হাবিবুর রহমান সাকিব, কিশোরগঞ্জ সদরের দানাপাটুলী ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর অর্থ সম্পাদক মাওলানা মো. নূর নবী, জামায়াত কর্মী মো. আব্দুর রহমান, মো. আবু সালেহ, মো. মোখলেছ, মো. ইয়াছিন, ফাইজ উদ্দিন টুটুল, মো. মিজান মিয়া ও মো. জিল্লুর রহমান আটক করা হয়।

এ ব্যাপারে ওসি মোহাম্মাদ দাউদ জানান, নাশকতার প্রস্তুতির সময় ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে। ২০২২ সালের একটি মামলায় তারা সন্দেহভাজন ছিল। এই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এ ছাড়া গতকাল শনিবার আটক হওয়া জামায়াত নেতাকর্মীদের মধ্যে রয়েছেন জেলা নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা আজিজুল হক, কুলিয়ারচর উপজেলা আমীর মাওলানা রফিকুর রহমান, হোসেনপুর উপজেলা কর্মপরিষদ সদস্য তাজুল ইসলাম, বাজিতপুরে পিরিজপুর ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসেন, অষ্টগ্রাম সদর ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা আবুবকর সিদ্দিক এবং নিকলী উপজেলা জামায়াতের সদস্য মতিউর রহমান ও হাফিজুর রহমানকে নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

সদর থানার ওসি মোহাম্মদ দাউদসহ হোসেনপুর থানার ওসি আসাদুজ্জামান টিটু এবং অষ্টগ্রাম থানার ওসি মুর্শেদ জামান তাদেরকে গ্রেপ্তারের কথা নিশ্চিত করেছেন।

তবে, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও কিশোরগঞ্জ জেলা আমীর অধ্যাপক মো. রমজান আলী বলেন, কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন ও অন্যান্য দাবিতে আমাদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ছিল। পুলিশ বিনা কারণে মিছিলে বাধা দিয়ে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে।