মেঘনায় শতাধিক মাঝি মাল্লাসহ ২০ ট্রলারডুবি, নিখোঁজ ২
ভোলার মেঘনা নদীতে মাছ ধরারত অবস্থায় জেলার বিভিন্ন স্থানে অন্তত শতাধিক মাঝিমাল্লাসহ ২০টি ট্রলারডুবির ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। এ সময় দুই জেলের নিখোঁজ হয়েছে বলে জানা গেছে।
আজ সকালে হঠাৎ করেই ঝড়ো বাতাস আর ভারি বৃষ্টিপাত শুরু হয়। মুহূর্তের মধ্যেই ফুসে উঠে ভয়ংকর রূপ ধারণ করে মেঘনা নদী। এ সময় মাছ ধরারত অবস্থায় অন্তত ২০টি ট্রলার ডুবে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
জেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্র মতে, ভোলা সদরে একটি, মনপুরায় আটটি, লালমোহনে দুটি, চরফ্যাশনে পাঁচটি ও দৌলতখানে চারটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে যায়। এ সময় ট্রলারে থাকা অন্তত শতাধিক জেলেকে অপর মাছ ধরার ট্রলারের জেলেরা উদ্ধার করে। লালমোহনে মেঘনা নদীতে ডুবে যাওয়া ট্রলারের দুই জেলে নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে।
ঢালচরের মাছ ব্যবসায়ী মো. মনির হোসেন বলেন, চর নিজাম সংলগ্ন মেঘনা নদীতে মামুন মাঝির একটি ট্রলার মাছ ধরারত অবস্থায় ডুবে যায়। ট্রলারটির মালিক পটুয়াখালী জেলার দশমিনা থানার। তবে তিনি এই এলাকায় মাছ ধরে ঢালচরে মাছ বিক্রি করেন। এ ছাড়া ঢালচরের বাবুল বেপারীর একটি ও মোস্তফা মেম্বারের একটি এবং মো. সালামের চারটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে বলে মোম্তফা মেম্বার জানান। বাকি ট্রলারমালিকদের তথ্য নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নাম পাওয়া যায়নি।
এদিকে ঢালচর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আশফাকুর রহমান বলেন, ট্রলার ডুবির চারটির খবর পাওয়া গেছে। তবে বিস্তারিত জানা যায়নি। নিখোঁজের কোনো খবর নেই।
এ বিষয় জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্যাহ বলেন, জেলার বিভিন্ন উপজেলায় র্দুযোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে অন্তত ২০টি ট্রলার মাছ ধরারত অবস্থায় ডুবে যাওয়া খবর পাওয়া গেছে। এ সময় লালমোহনের দদুই জেলে নিখোঁজের খবর পাওয়া গেলেও তার সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে জানান এই মৎস্য কর্মকর্তা।