বান্দরবানে পাহাড় ধসে মা-মেয়ে নিহত, সেনাবাহিনী মোয়তায়েন

Looks like you've blocked notifications!
অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে বান্দরবানের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত। সোমবার তোলা স্টার মেইলের ছবি

বান্দরবানে টানা ছয় দিন ধরে অবিরাম বর্ষণের ফলে পাহাড় ধসে মা-মেয়ে নিহত হয়েছে। এছাড়া পানিতে ভেসে নাইক্ষ্যংছড়িতে ম্রো সম্প্রদায়ের একজন এবং টংকাবর্তীতে একজন নিখোঁজ রয়েছে। পানিতে তলিয়ে যাওয়া একটি ছাত্রাবাস থেকে ৩৪ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। দুর্যোগ পরিস্থিত মোকাবিলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। বিদ্যুতের সাবস্টেশনগুলো পানিতে ডুবে যাওয়ায় জেলার বিভিন্ন এলাকা তিন দিন ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) জেলার সাতটি উপজেলায় অবিরাম বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। পাহাড় ধসে কালাঘাটা গুদারপাড় এলাকায় মা-মেয়ের মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন—নূর নাহার (৪২) ও সাবুকননেছা (১৪)।

পরিস্থিতি মোকাবিলায় বান্দরবান জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সেনাবাহিনীর ও প্রশাসনের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন, বান্দরবান ৬৯ সেনা রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম মো. মহিউদ্দিন, সদর জোন কমান্ডার লে. কর্নেল মাহমুদুল হাসানসহ প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সেনাবাহিনীর দুটি অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্প ও একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।

বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, ‘জেলায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লামা ও সদর উপজেলায়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পাহাড় ধসে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে কয়েকজন। ২৫৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।’

বান্দরবান ৬৯ সেনা রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম মো. মহিউদ্দিন বলেন, ‘সেনাবাহিনীর দুটি অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্প কাজ করছে। একাধিক টিম দুর্গতদের সহযোগিতায় কাজ করছে।’