জুনে মৃত্যু, আগস্টে ফিরল সৌদি প্রবাসীর মরদেহ

Looks like you've blocked notifications!
সাতক্ষীরার কলারোয়ার নিজ বাড়ির আঙিনায় সৌদি প্রবাসী হাফিজুর রহমানের মরদেহ। ছবি : এনটিভি

কলেজের শিক্ষক হিসেবে দীর্ঘ ১৬ বছর চাকরি করেছেন। তবে, এ সময়ে কোনো বেতন পাননি। অভাবের সংসারের দুঃখ ঘোচাতে যান সৌদি আরব। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে যাওয়ার ছয় মাস না যেতেই মারা যান তিনি। অবশেষে মৃত্যুর প্রায় দুমাস পর তার লাশ সৌদি আরব থেকে ফেরত এসেছে।

বলছিলাম সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ধানদিয়া ইউনিয়নের কৃপারামপুর গ্রামের হাফিজুর রহমানের কথা। আজ মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) জেলার কর্মসংস্থান ও জনশক্তি বিভাগের মাধ্যমে সৌদি আরব থেকে তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। এ সময় নিহতের স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে পরিবেশ।

হাফিজুর রহমান ওই গ্রামের রুস্তম আলী সানার ছেলে। স্থানীয় নন এমপিওভুক্ত ‘ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমান কলেজ’ এর ম্যানেজমেন্ট বিভাগে প্রভাষক হিসাবে দীর্ঘ ১৬ বছর চাকরি করেছেন তিনি।

নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর ছয় লাখ টাকা খরচ করে সৌদি আরবে পাড়ি জমান হাফিজুর। ভাগ্য ফেরাতে প্রবাসে গেলেও সেখানে অর্ধাহার ও অনাহারে দিন কাটে তার। দালালরা তাকে কাজের প্রতিশ্রুতি দিলেও সেখানে কোনো কাজ যোগাড় করে দিতে পারেনি। চলতি বছরের ১৭ জুন খবর আসে তিনি মারা গেছেন। 

এদিকে, ছেলের মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড বলে অভিযোগ করছেন হাফিজুরের মা রিজিয়া খাতুন। এই মায়ের দাবি, ‘এটি কোনো স্বাভাবিক মৃত্যু নয়, তাকে হত্যা করা হয়েছে।’

কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘নিহতের মরদেহ পুনরায় ময়নাতদন্ত করে এটি হত্যা নাকি স্বাভাবিক মৃত্যু তা খতিয়ে দেখা হবে।’