সাতকানিয়ায় এখনও লাখো মানুষ পানিবন্দি, ত্রাণ তৎপরতায় সেনাবাহিনী
দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। সড়ক-মহাসড়ক থেকে বন্যার পানি কমে যাওয়ায় যান চলাচল স্বাভাবিক হলেও এখনও অন্তত লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। পানিবন্দি এলাকায় লোকজনের কাছে সেনাবাহিনীর সহায়তায় ত্রাণ তৎপরতা চালাচ্ছেন জনপ্রতিনিধিরা। এছাড়া নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে কেওচিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, পুরো এলাকা পানির নিচে রয়েছে। জনজীবনে নেমে এসেছে চরম বিপর্যয়। সেনাবাহিনীর স্পিড বোট দেখে লোকজন ত্রাণসমাগ্রীর আশায় বুক পানি ডিঙ্গিয়ে ছুটে আসছে। এ সময় সেনাবাহিনীর সঙ্গে থাকা কেওচিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে লোকজনকে রান্না করা খাবার, শুকনা খাবার, বিশুদ্ধ পানি, মোমবাতি ও দিয়াশলাই তুলে দেওয়া হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাতকানিয়ার কেওচিয়া, কালিয়াইশ, ধর্মপুর, বাজালিয়া, পুরানগড়, ঢেমশা, পশ্চিম ঢেমশা, এওচিয়া, নলুয়া, আমিলাইশ ও চরতী ইউনিয়নে বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়া সড়কগুলো ভেসে উঠেছে। তবে, কাদামাটির কারণে সড়ক দিয়ে চলাচলে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বাসিন্দাদের।
কেওচিয়া ইউনিয়নের ১, ২, ৩, ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের অনেক নিচু জায়গায় এখনও বন্যার পানি রয়ে গেছে। নির্মাণাধীন রেল লাইনের কারণে পানি দ্রুত নামতে পারছে না বলে অভিযোগ এলাকবাসীর। এ প্রসঙ্গে কেওচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওসমান আলী বলেন, ‘সাতকানিয়ার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে ইউনিয়নের একাধিক ওয়ার্ডের বাসিন্দারা এখনও পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে।’
কেওচিয়ায় আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ত্রাণকাজে সহায়তায় দায়িত্বে থাকা রামু ক্যান্টনমেন্ট ১০ পদাতিক ডিভিশনের ওয়ারেন্ট অফিসার আব্দুল করিম বলেন, ‘আমরা বন্যা কবলিত এলাকায় গিয়ে পানিবন্দি লোকজনকে উদ্ধারে কাজ করছি। পাশাপাশি চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণে সহায়তা দিচ্ছি। এখনও অনেক মানুষ পানিবন্দি থাকায় তাদের কাছে খাবার পৌঁছাতেই আমরা কাজ করছি।’
এদিকে, সাতকানিয়ার চরতীতে ত্রাণ বিতরণ করেছেন সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী। কেওচিয়া, বাজালিয়া ও কালিয়াইশ এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করেন সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী।