টাঙ্গাইলে সড়ক ভেঙে নদীতে, ভোগান্তিতে মানুষ
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাতুলী ইউনিয়নের চারাবাড়ি এসডিএস সেতু সংলগ্ন সড়ক ভেঙে ধলেশ্বরীতে পড়েছে। এতে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে এবং বিপাকে পড়েছে টাঙ্গাইল সদরের পশ্চিমাঞ্চলের লাখো মানুষ। শনিবার (১২ আগস্ট) সকালে সড়কটির একটি অংশ ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়।
রাস্তাটি দ্রুত মেরামতের আশ্বাস দিয়েছেন টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদ হোসেন।
শনিবার দুপুরের দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, সেতু সংলগ্ন সড়কের অর্ধেকের বেশি অংশ ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে রাস্তাটিতে যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। সাধারণ মানুষ হেঁটে যেতে পারলেও যানবাহন দাঁড়িয়ে ছিল সেতুর দুপাশে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে হুগডা, কাকুয়া, মাহমুদনগর, পোড়াবাড়ি ও কাতুলী ইউনিয়নসহ পাশ্ববর্তী সিরাজগঞ্জ জেলার কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, সেতু নির্মাণের পর থেকেই বালু ব্যবসায়ীরা নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে। ফলে এর আগেও এই সেতুর অ্যাপ্রোজ ধসে পড়ে। পরে এলজিইডি তা পুনরায় নির্মাণ করে। এরপরও থেমে থাকেনি বালু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য। সুযোগ পেলেই রাতের আঁধারে বালু উত্তোলন করে তারা। নদীতে পানি কমতে শুরু করায় শনিবার সকালে সড়কের একটি অংশ ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে যায়।
স্থানীয়রা আরও জানান, টাঙ্গাইল শহরের সঙ্গে সদরের পশ্চিম চরাঞ্চলের মানুষের যোগাযোগের একমাত্র সড়ক এটি। বিপুল অর্থ খরচ করে সরকার চরাঞ্চলের মানুষের চলাচলের সুযোগ করে দিয়েছে। আর এই সেতুটির পাশ থেকে অবৈধভাবে মাটি ও বালু উত্তোলন বন্ধ করা যায়নি। এমনকি, কোনো স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হয়নি। এতে প্রতি বর্ষায় সড়কটি ভেঙে যায়।
এ বিষয়ে কাতুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ‘প্রতি বছরই শুকনো মৌসুমে সেতুর পাশ থেকে মাটি কাটা হয়। এ কারণে সেতুর সংলগ্ন সড়ক প্রতি বছরই ভেঙে যায়। এই সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল শনিবার সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে।’
সড়কটি দ্রুত সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্টদের কাছে জোর দাবি জানান এই জনপ্রতিনিধি।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয় বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাব আমরা। সেখানে দ্রুত জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধ এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনরায় চালু করা হবে।’