ডিমসহ নিত্যপণ্যের দামে ঊর্ধ্বগতি, ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়ে মাঠে র্যাব
হু হু করে বাড়ছে ডিমের দাম। দিন গড়ালেই যেন নতুন দামে অতিষ্ঠ ক্রেতা। ডিমের দামের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে আমদানির হুঁশিয়ারিও দিয়েছে বাণিজ্যমন্ত্রণালয়। এরই মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়ে মাঠে নেমেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব)। তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালত রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালাচ্ছেন। শুধু ডিমই না, এই আদালত নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম ন্যায্য মূল্যের চেয়ে বেশিতে বিক্রি করায় জরিমানা করেছেন।
অধিনায়কের পক্ষে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ও সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া অফিসার) মো. পারভেজ রানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় অভিযানের তথ্য পাওয়া গেছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, র্যাব-১-এর ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় ডিমের আড়তসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম ন্যায্য মূলের চেয়ে অতিরিক্ত দামে বিক্রয় করায় সাতটি প্রতিষ্ঠানকে দুই লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সাম্প্রতি কতিপয় অসাধু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান দৈনন্দিন বাজারদর বৃদ্ধি করে তারা সরকারি অনুমোদন ব্যতিত নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি বিক্রি করে জনজীবনে দুর্ভোগ সৃষ্টি করে আসছে বলে তথ্য পায় র্যাব। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-১ এ বিষয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় আজ আনুমানিক সকাল সাড়ে ১০ থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত র্যাব-১-এর একটি আভিযানিক দল উত্তর বাড্ডা, সাত্তারকুল রোড এলাকায় আব্দুল্লাহ স্টোর, এম.বি.এ ট্রেডার্স, সুমন ডিমের আড়ৎ, ফলের মেলা, কামরুল রেস্টুরেন্ট, নিউ গ্রিন ঢাকা রেস্টুরেন্ট এবং আমিন ট্রেডার্সে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে।
এ সময় র্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাদির শাহের নেতৃতে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত ভোক্ত অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯-এর ৩৮, ৪৫ এবং ৫২ ধারা মোতাবেক ন্যায্য মূল্যের অতিরিক্ত মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বিক্রয় এবং মূল্য তালিকা না থাকার অপরাধে আমিন ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. নুরুল আমিন (৪৫), সুমনের ডিমের আড়তের স্বত্বাধিকারী মো. সুমন (২৫), এম.বি.এ ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মো মাহবুবুল আলম (৪৫) ও আব্দুল্লাহ স্টোরের স্বত্বাধিকারী মো. আমিনুলকে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
এ ছাড়া ফলের মেলার স্বত্বাধিকারী মো. রাসেল (৩৫), কামরুল রেস্টুরেন্টের স্বত্বাধিকারী পরিমল চন্দ্র দে-কে (৫১) ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
এদিকে, একই এলাকায় অভিযানে নিউ গ্রিন ঢাকা রেস্টুরেন্টের স্বত্বাধিকারী সৈয়দ আ. হান্নানকে (৪৮) জরিমানা করা হয় ৫০ হাজার টাকা।
জরিমানার মাধ্যমে আদায়কৃত টাকা সরকারী কোষাগারে জমা দেওয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।