জবি শিক্ষক নাসির উদ্দিন আহমেদের অপসারণের আদেশ অবৈধ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক নাসির উদ্দিন আহমেদের অপসারণের আদেশ অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে করা রিট আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) এ রায় দেন।
আদালতে নাসির উদ্দিনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহদীন মালিক, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এম মনজুর ও মো. তায়্যিব-উল-ইসলাম। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, তানজিল উল আলম ও নাজমুল হাসান রাকিব।
এ বিষয়ে আইনজীবী এম মনজুর বলেন, ‘সহযোগী অধ্যাপক নাসির উদ্দিন ২০১৬ সালে অধ্যাপক পদে আবেদন করেন। আবেদনের শর্তানুসারে তাঁর জমা দেওয়া দুটি আর্টিকেলের বিষয়ে জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে। ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদন না দিয়ে অপসারণের সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে ২০১৯ সালে তিনি হাইকোর্টে রিট করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল দেন। রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে আজ রায় দেওয়া হলো।’
রিট আবেদনকারীর আইনজীবী এম মনজুর আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রক্রিয়াগত ত্রুটির কারণে হাইকোর্ট নাসির উদ্দিনের অপসারণের আদেশ অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন। ফলে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে তাঁর চাকরিতে ফিরতে বাধা নেই। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চাইলে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তদন্ত প্রতিবেদন তাঁকে সরবরাহ সাপেক্ষে কার্যধারা সম্পন্ন করতে পারবে বলে রায়ে এসেছে।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম আইনজীবী নাজমুল হাসান বলেন, ‘প্রথম নোটিশের জবাব উনি দিয়েছিলেন। তবে দ্বিতীয় নোটিশের সময় নাসির উদ্দিনকে তদন্ত প্রতিবেদনের কপি দেওয়া হয়নি। এই কপি না দিয়ে তাঁকে অপসারণ করায় হাইকোর্ট অপসারণের আদেশ অবৈধ ঘোষণা করেছেন। তবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চাইলে তদন্ত রিপোর্টসহ আবার দ্বিতীয় কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারবে বলে রায়ে বলা হয়েছে।’