নবীনগরে এসআই বাছিরকে প্রত্যাহার দাবিতে মানববন্ধন
মিথ্যা মামলায় তদন্তবিহীন মনগড়া প্রতিবেদন দাখিলের প্রতিবাদে উপপরিদর্শক (এসআই) বাছির আলমের প্রত্যাহার দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয়রা। আজ বুধবার সকালে (২৩ আগস্ট) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার রসুল্লাবাদ ইউনিয়নের কালঘড়া বাজারে লহরী-কালঘড়া গ্রামবাসীর ব্যানারে এই মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া গ্রামবাসী অভিযোগ করেন, ফয়সাল চৌধুরী ও সুমন আহমেদের মধ্যে কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় একে অপরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। কিন্তু সুমনের অভিযোগ মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয় এবং তদন্ত কর্মকর্তা বাছির আলম সেই ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদনও জমা দেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ তদন্ত কর্মকর্তা অবৈধ সুযোগ-সুবিধা নিয়ে মনগড়া প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।
মামলার বাদী সুমন আহমেদ কালঘড়া হাফিজ উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক এবং রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় এলাকায় তাঁর প্রভাব রয়েছে। সুমনের বিরুদ্ধে ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ উঠায় তিন শতাধিক অভিভাবক ও শিক্ষার্থী গত ৩০ জুলাই বিক্ষোভ মিছিল করে স্কুল থেকে তাঁর প্রত্যাহার দাবিতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন। এরই জের ধরে ফয়সাল চৌধুরী ও সুমন আহমেদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। সেই ঘটনায় একে অপরের বিরুদ্ধে নবীনগর থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেন। তবে শুধু সুমনের অভিযোগটিই আমলে নেয় পুলিশ।
মানববন্ধনের সময় সুমন এবং তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গরা এসে গ্রামবাসীকে ভয়ভীতি দেখায় বলেও জানায় মানববন্ধনে আসা লোকজন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুমন আহমেদ বলেন, ‘আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছনা করা হয়েছে, তাই আমি মামলা করেছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফয়সাল চৌধুরী বলেন, ‘সুমনের বিরুদ্ধে ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের ঘটনায় অভিযোগ উঠার পর আমিও অভিবাকদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তাঁর অপসারণ দাবি করি। এ নিয়ে আমাকে হুমকি দেন। তখন কথাকাটাকাটি হয়, তাঁকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছনা করা হয়নি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এসআই বাছির আলম বলেন, ‘আমি মামলা নেওয়ার কেউ নই, ওসি স্যার মামলা নেন। আমাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিয়েছি।’
এ বিষয়ে জানতে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুব আলমের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাগোগ করা হলে তিনি প্রথমে অনেকটা ক্ষেপে যান এবং বলেন, ‘তদন্তকারী কর্মকতার তদন্তের বিষয়টি তাঁর সাংবিধানিক অধিকার। তিনি বিষয়টি প্রকাশ্যে না গোপনে করবেন সেটি বিষয় নয়, তিনি তদন্তে যা পেয়েছেন তা রিপোর্ট দিয়েছেন।’