দেশের বাজেট জনবান্ধব : স্পিকার
বাংলাদেশের বাজেটকে জনবান্ধব হিসেবে অভিহিত করে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ‘লিঙ্গ সংবেদনশীল বাজেটে সমাজের নারী ও শিশুদের কল্যাণের জন্য বিশেষ বরাদ্দ রাখা হয়। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর অন্তর্ভুক্ত করে দারিদ্র্যের হার গত ১২ বছরে ৪০ থেকে ১৮ শতাংশে নেমে এসেছে। অতি দরিদ্র্য নারী, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা নারী, গর্ভবতী এবং ল্যাকটেটিং মায়েদের জন্যও বিভিন্ন ধরনের ভাতা ও আর্থিক সহায়তা রয়েছে।’
আজ বুধবার (২৩ আগস্ট) ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের ইনস্টিটিউট অব সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ কর্তৃক আয়োজিত ‘সংসদীয় গণতন্ত্রে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিতকরণে জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের গুরুত্ব’ শীর্ষক সেশনে স্পিকার এ কথা বলেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশ শোষণ-বঞ্চনাহীন একটি গণতান্ত্রিক দেশ। এ দেশের সংসদ সদস্যরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে জীবনমানের ইতিবাচক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছেন। বাংলাদেশের তৃণমূল পর্যন্ত জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিতে জাতীয় সংসদ কাজ করছে।’
স্পিকার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধারণ জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড গ্রহণ করেছেন। জনগণের বহুমুখী উন্নয়ন সাধনের জন্য প্রধানমন্ত্রী কার্যকর আইন ও নীতি প্রণয়ন করেছেন। সংবিধান অনুযায়ী জনজীবনের সকল ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিতকরণে নিরলস কাজ করে চলেছেন শেখ হাসিনা।’
দেশের সংবিধানে সমাজের অনগ্রসর জনগণের সুযোগের সমতা নিশ্চিতকরণের বিধান রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় সমাজের অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য ৯ লাখ ঘরের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। কৃষকদের ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে দিয়েছেন। আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্পের আওতায় গরিবদের স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ দিয়েছেন।’