ভালুকায় এনজিওকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগ আ.লীগনেত্রীর বিরুদ্ধে

Looks like you've blocked notifications!
ময়মনসিংহ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ড. সেলিনা রশিদ (বামে) ও নির্যাতনের শিকার শরিফ হাসান। ছবি : এনটিভি

ময়মনসিংহের ভালুকায় জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ড. সেলিনা রশিদের বাসায় এক যুবককে তিন দিন আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। ওই যুবকের একটি  ভিডিও এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই ভিডিওতে তাঁকে নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন তিনি।

নির্যাতনের শিকার ওই যুবকের নাম শরিফ হাসান। তিনি উপজেলার মেদুয়ারী গ্রামের আমিরুলের ছেলে এবং ওই আওয়ামী লীগনেত্রীর এনজিও সেভ দ্য লাইফ উইম্যান কো-অপরেটিভ সোসাইটির মাঠকর্মী।  

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে শরিফ হাসান জানান, এনজিওর ডক্যুমেন্ট খোয়া যাওয়া ও টাকার হিসাব না মিলায় চুরির সন্দেহে সেলিনা রশিদের নির্দেশে তাঁকে চেয়ারের নিচে মাথা ঢুকিয়ে তিন দিন আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়েছে। বাসায় আটকে রেখে নির্যাতন করে তিন যুবক। তারা হলেন, আলমগীর, শুভ ও আরেক যুবকের নাম তিনি জানেন না।  

ভিডিওতে শরিফ আরও বলেন, ‘আমাকে বেধড়ক মেরেছে। মেরে দুটি লাঠি ভাঙার পর পতাকা টানানোর রড দিয়ে মেরেছে। আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি। ম্যাডামের পায়ে ধরে বলছি, আমি অন্যায় করে থাকলে, ভুল করে থাকলে প্রশাসনের হাতে তুলে দেন। বাবা-মায়ের হাতে তুলে দেন, আমারে মাইরেন না। তারা সাদা স্ট্যাম্পে সই নিছে। আমার সামনেই সহকারী ম্যানেজার অলিউল্লাহকেও পিটিয়েছে। আমারে মাস্টারবাড়ি ক্লিনিকে নিছে ঘুমের বড়ি খাওয়াইছে। ভালুকা হাসপাতালে আনছে, আমারে রাখে নাই। পরে ময়মনসিংহ মেডিকেলে আনছে।’

এই ঘটনার বিষয়ে কথা বলতে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খাদিজা আক্তার ময়মনসিংহের সাংবাদিকদের সঙ্গে দেখা করেন, শরিফকে নির্যাতনের বর্ণনা দেন। এই নেত্রীও এনজিওটির অংশীদার। তবে এ সময় বেশি কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করে, বলেন ৩টার পরে কথা বলবেন। পরে সন্ধ্যার আগে তিনি জানান, বিষয়টি মিটমাট হয়ে গেছে। শরিফ ভালুকায় চলে গেছে।

এ বিষয়ে জানতে রাতে ড. সেলিনা রশিদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন এনটিভির ভালুকা প্রতিনিধি আলমগীর হোসেন। এ সময় তিনি দাবি করেন গ্রাহকদের টাকা অফিসে জমা দেননি শরিফ। তাই তিন গ্রাহক তাঁদের টাকার জন্য তাঁকে অফিসে এসে মারধর করেছে। এতে তাঁর কোনো হাত নেই। তিনি এর জন্য দায়ী নন।

এ বিষয়ে ভালুকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। এ বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগও করেনি। যেহেতু এখন তিনি জানলেন তিনি খোঁজ নেবেন। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন।