রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের বাংলাদেশ সফরের বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসার পরে যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেখানে একটা কথা খুব স্পষ্ট হয়ে উঠেছে—বৃহৎ শক্তির মর্যাদার লড়াইয়ে তাদের ক্ষমতার প্রভাব বলয়ের একটা ক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহৃত হতে চলেছে বাংলাদেশ। বর্তমান সরকার ‘অবিবেচকের মতো’ কথা বলে দেশকে একটা ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

আজ শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রার আগের সমাবেশে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সবচেয়ে আশঙ্কার কথা হলো—আমরা দেখতে পারছি, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসার পরে তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেখানে একটা কথা খুব স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। বৃহৎ শক্তির মর্যাদার লড়াইয়ে তাদের ক্ষমতার প্রভাব বলয়ের একটা ক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহৃত হতে চলেছে বাংলাদেশ। এর জন্য সম্পূর্ণ দায়ী বর্তমান সরকার। তারা অবিবেচকের মতো দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে কথা-বার্তা বলে কূটনীতিকে পরিচালিত করে দেশকে একটা ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে।’

‘১৯৭৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর মহিলা দল গঠন করেন জিয়াউর রহমান’ উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আপনাদের শপথ নিতে হবে, আমরা যেকোনো মূল্যে এই সরকারকে সরিয়ে জনগণের একটা সরকার করতে চাই। একটা নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে চাই। আমাদের কথা খুব পরিষ্কার—আমরা কোনো সংঘাত চাই না, আমরা কোনো গোলোযোগ চাই না।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা দেশে একটা সুষ্ঠু অবাধ গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে চাই। সেটাই আমাদের লক্ষ্য। আজকে আপনারা সামনে এগিয়ে আসুন, মানুষ এগিয়ে আসছে, জনগণ বেরিয়ে আসছে। এই সরকারের পতন অনিবার্য এবং জনগণের সরকার অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত হবে।’

জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাটি নয়াপল্টনের কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে কাকরাইলের নাইটেঙ্গল রেঁস্তোরা মোড় ঘুরে আবার নয়াপল্টনে এসে শেষ হয়। এ সময় মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের সঞ্চালনায় সমাবেশে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, মহিলা দলের হেলেন জেরিন খান, রাশেদা বেগম হীরা, নেওয়াজ হালিমা আরলী, ইয়াসমীন আরা হক, শাম্মী আখতার, সাবিনা ইয়াসমিন, নায়েবা ইউসুফ, রুমা আখতার প্রমুখ বক্তব্য দেন।