রেড জোনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে দেশের অর্থনীতি : অলি আহমদ

Looks like you've blocked notifications!
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদের ফাইল ছবি এনটিভির

লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ (বীর বিক্রম) বলেছেন, দেশের অর্থনীতি ক্রমশ রেড জোনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কারণ, সরকার মেগা প্রকল্পের জন্য প্রায় ৯৮ বিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়েছে। আগামী বছরের প্রথমার্ধে প্রায় আট বিলিয়ন ডলার ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে হবে। দেশে প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি রিজার্ভ রয়েছে। ওই আট বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করলে সরকারের হাতে থাকবে আনুমানিক ১২ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ, মাসের ব্যয় পরিশোধের জন্য যথেষ্ট নয়। এ অবস্থায় আইএমএফের কিস্তি পাওয়া যাবে কি-না, তাও নিশ্চিত না। আইএমএফের শর্তানুযায়ী, রিজার্ভে ২৩ বিলিয়ন ডলার থাকতে হবে।

আজ শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পূর্ব পান্থপথে এলডিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির আয়োজিত কালো পতাকা গণমিছিলের আগের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন অলি আহমদ। মিছিলটি মালিবাগ মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

কর্নেল অলি বলেন, ‘সরকার দেশের অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানের জন্য প্রায় সময় টাকা ছাপিয়ে যাচ্ছে। ফলে দেশে মুদ্রাস্ফিতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যদিকে দ্রবমূল্য হুহু করে বাড়ছে। ফলে জনগণ দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে দিন অতিবাহিত করছে। জনগণের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। আয়ের তুলনায় ব্যয় তিন গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ অসহায়ত্বে জীবন যাপন করছে। এই অবস্থা থেকে আদৌ কি বের হওয়া সম্ভব হবে?’

এলডিপির প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘বর্তমান সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে তিনবার নির্বাচন করেছে, দুইবার জিতেছে, একবার পরাজিত হয়েছে। বর্তমনে দেশের ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ জনগণ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়। এতে সরকারের আপত্তি থাকার কথা নয়। এই দাবি নিয়ে সরকার ১৯৯৬ সালে দেশকে অচল করে দিয়েছিল। এখন আপত্তি কেন? দেশের জনগণের দাবীর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাশীল হতে হবে, তবেই দেশ এগিয়ে যাবে।’

এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য নূরুল আলম তালুকদার, ড. নেয়ামূল বশির, ড. আওরঙ্গজেব বেলাল, অ্যাডভোকেট এসএম মোরশেদ, অধ্যক্ষ সাকলায়েন, ভাইস-প্রেসিডেন্ট মাহে আলম চৌধুরী, উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, অধ্যাপিকা কারিমা খাতুন, যুগ্ম মহাসচিব বিল্লাল হোসেন মিয়াজি, আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল হাশেম, প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিলু প্রমুখ গণমিছিলে অংশ নেন।