ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচে বিজয়ী ‘ভাঙা’ নৌকা

Looks like you've blocked notifications!
জামালপুরে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ। ছবি : এনটিভি

জামালপুরে লাখো দর্শকের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো আবহমান বাংলার ঐহিত্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা। দুই দিনব্যপী আয়োজিত নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছে অপর একটি নৌকার ধাক্কায় ভেঙ্গে যাওয়া নৌকা ‘সোনমূখী রকেট’। 

ঢাকাস্থ জামালপুর সমিতি, জামালপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও জামালপুর পৌরসভা যৌথভাবে শহরের ছনকান্দায় ব্রহ্মপুত্র নদে দুই দিনব্যাপী নৌকা বাইচের আয়োজন করে। 

গতকাল শুক্রবার প্রতিযোগিতার প্রথম দিনে জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও আশেপাশের জেলা থেকে আগত মোট ১৫টি নৌকার মধ্যে আটটি নৌকা দ্বিতীয় রাউন্ডে উত্তীর্ণ হয়। আজ শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দ্বিতীয় রাউন্ডে উত্তীর্ণ আটটি নৌকা থেকে চারটি নৌকা সেমি ফাইনালে উত্তীর্ণ হয়। 

সেমি ফাইনালে অংশ নেয় ইসলামপুর উপজেলার সোনামুখি রকেট, মনিরাজ, মেলান্দহ উপজেলার শাহপরান ও ময়ুরপঙ্খী বাইচের নৌকা। সেমি ফাইনালে বিজয়ী হয়ে চূড়ান্ত পর্বের ফাইনালে অংশ নেয় সোনামূখী রকেট ও মনিরাজ নামে দুইটি নৌকা।

মেলান্দহ উপজেলার ঝাউগড়া থেকে নৌকা বাইচ উপভোগ করতে আসা দর্শক সোলায়মান কবির সেলিম জানান, সেমিফাইনালে অংশ নেওয়ার আগ মূহূর্তে নৌকা ঘুরানোর সময় ব্রহ্মপুত্র নদে চলাচলরত একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকার সঙ্গে ধাক্কা লেগে সোনমূখী রকেটের সামনের গলুইয়ের অনেকটুকু অংশ ভেঙে যায়। পরে তাৎক্ষণিকভাবে মেরামত করে সেমি ফাইনালে অংশ নেয় সোনামূখী রকেট। ফাইনালে অংশ নিয়ে ইসলামপুর উপজেলার সোনামূখী রকেট ভাঙ্গা নৌকা নিয়েই মনিরাজকে পরাজিত করে বিজয় ছিনিয়ে নেয়। 

এদিকে, মেলান্দহ উপজেলার শাহপরান ও ময়ুরপঙ্খী নৌকার মধ্যে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী খেলা অনুষ্ঠিত হয়, এতে ময়ুরপঙ্খীকে পরাজিত করে তৃতীয় স্থান অর্জন করে শাহপরান। 

নৌকা বাইচ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মো. মোজাফফর হোসেন, পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান, ঢাকাস্থ জামালপুর সমিতির মহাসচিব গ্রুপ ক্যাপ্টেন (অব.) শফিকুল ইসলাম, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মির্জা জিল্লুর রহমান শিপনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য দেন। 

পরে নৌকা বাইচে বিজয়ী ইসলামপুর উপজেলার সোনামূখী রকেট নৌকার দলকে দেড় লাখ টাকা, একই উপজেলার রানার্সআপ মনিরাজকে এক লাখ টাকা ও তৃতীয় অবস্থানে থাকা মেলান্দহ উপজেলার শাহপরানকে ৭৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়।